29/03/2024 : 9:03 PM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানপূর্বস্থলী

পূর্বস্থলীতে তাঁত শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ও বিডিও ঘেরাও 

আলেক শেখঃ তাঁত শ্রমিকরা শুক্রবার আবার সড়ক অবরোধে যেতে বাধ্য হলো। কারন গত ৬ই জুলাই  তাঁত কারখানাগুলো খোলার দাবিতে  এস টি কে কে সড়ক অবরোধ করেছিলেন সহস্রাধিক তাঁত শ্রমিক। পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরতলায় আড়াই ঘন্টা ধরে এই অবরোধ চলার পর প্রশাসনের মীমাংসার  আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। প্রশাসন শুক্রবার  মীমাংসার জন্য পূর্বস্থলী-১ ব্লক দপ্তরের বদলে কালনা মহকুমা শাসক দপ্তরে ডাকেন শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষকেই। পূর্বস্থলী থেকে  ৩০ কিমি দূরে এদিন কালনা মহকুমা শাসক দপ্তরে নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকরা পৌঁছে যান। কিন্তু মালিকরা সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের দেখা মেলেনি।  ফলে প্রশাসনের তরফ থেকে মীমাংসার আর একটি তারিখ ঘোষণা করেন কালনা মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মহান্তি।  শ্রমিকরা পূর্বস্থলীতে ফিরে গিয়ে শ্রীরামপুর ফকীরতলায় এস টি কে কে সড়ক আবার বেলা  ৩ টা থেকে  অবরোধ করেন।  কিছুক্ষন পরেই  পূর্বস্থলী-১ বিডিও  নীতিশ  বালা সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান।  কিন্তু শ্রমিকরা তাঁকে  ঘিরে বসে  পড়ে দুটি দাবি তোলেন। প্রথম দাবি কালকে থেকেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক মজুরিতে কারখানা খুলতে হবে।  দ্বিতীয় দাবি যেদিন থেকে মালিকরা কারখানা বন্ধ করেছে, সেই দিন থেকে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে।  এই দাবি মেনে  নেওয়ার কোন আশ্বাস না মেলায় সন্ধ্যা ৭ টার সময়ও বিডিও  সাহেব ঘেরাও হয়ে থাকেন।  ঘেরাও ওঠার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি। উল্লেখ্য     উৎপাদিত বস্ত্রের বিক্রি নেই অজুহাতে পূর্বস্থলীর জুন মাসের শেষের দিকে   তাঁত কারখানাগুলি বন্ধ করে  দেন  মালিকরা। ফলে নতুন করে  বিপাকে পড়ে যান চার হাজার শ্রমিক।  গত ১৯  শে জুন লাগাতার সংগঠিত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে   কোন রকমই মজুরি না কমানোর দাবি আদায় করেন পূর্বস্থলীর চার হাজার তাঁত  শ্রমিক।  ওইদিন পূর্বস্থলী-১ বিডিও দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন সমস্ত কারখানার মালিকরা।  উল্লেখ্য ইতিপূর্বে লকডাউনের অজুহাতে জুন মাসের প্রথম দিকে  শ্রমিকদের  মজুরি  কমিয়ে দেন মালিকরা।  তারই প্রতিবাদে  সিআইটিইউ অনুমোদিত পূর্ব বর্ধমান জেলা  তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে   লাগাতার আন্দোলনা নামেন শ্রমিকরা। শেষে সেই আন্দোলনে জয় মেলে গত ১৯ শে জুন।    আগের মজুরিই শ্রমিকদের দেওয়া হবে বলে পূর্বস্থলী-১ বিডিও-র সামনে  কারখানা মালিকরা  চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করে দেন। কিন্তু তার  মাত্র ১০ দিন পর আবার নতুন অজুহাতে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেন মালিকরা। এর বিরুদ্ধে  শ্রমিকরা  সংগঠিত হয়ে মালিকদের এই একতরফা সিদ্ধান্তের  বিরুদ্ধে  গত ৬ জুন সড়ক অবরোধ করেন তাঁত শ্রমিকরা।  আড়াই ঘন্টা অবরোধ চলার পর পূর্বস্থলী-১ ব্লকের  জয়েন্ট বিডিও  শুক্রবারের মধ্যে মীমাংসার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।  কিন্তু আশ্বাস মোতাবেক  শুক্রবার মীমাংসা না হওয়ায় এদিন আবার অবরোধ  ও বিডিও ঘেরাও করেন তাঁত শ্রমিকরা। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন– শ্রমিক নেতা তাপস চ্যাটার্জি, প্রবীর মজুমদার, মন্টু বিশ্বাস, অলক দেবনাথ, দেবপ্রসাদ পাল প্রমুখ।

Related posts

মেমারির এক সাধুর মৃত্য হলো পান্ডুয়া রেলস্টেশনে

E Zero Point

কালনায় বিনামূল্যে সবজিবাজার চতুর্থ সপ্তাহ

E Zero Point

সিভিক ভলেন্টিয়ার্সের তৎপরতায় বাইক উদ্ধার

E Zero Point

মতামত দিন