এম. কে. হিমু, ২২ জুলাই:
একদিকে গোটা দেশের সাথে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দিনের পর দিন অবনতির দিকে অন্য দিকে দেশে করোনা আবহের মধ্যেই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের খেলা চলছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে। সাধারণ মানুষের জীবনের থেকে রাজনৈতিক নেতাদের কেরিয়ার আজ এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মনে হয় সব দলের কাছে আগে।
গতকাল ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল সভা থেকে ২০২১-এর নির্বাচনের যুদ্ধের শঙ্খনাদ বাজিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মতলায় সভা না করতে পারায় ব্যথিত ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যয়ী ঘোষণা, “একুশে মে ঐতিহাসিক জয়ের পরই আগামী বছর ঐতিহাসিক একুশে জুলাই সমাবেশ করব আমরা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলে বিনামূল্যে রেশন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সারা জীবন ধরে পাবেন মানুষ।
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন “বাংলাই বাংলাকে শাসন করবে কোনও বহিরাগত নয়।” তার ইঙ্গিত স্বভাবতই দিল্লির ক্ষমতাধীন দল, বাংলায় রাজনৈতিক থাবা বসাতে মরিয়া বিজেপিকে রুখতে এই শব্দ চয়নের মাধ্যমে বাঙালি আবেগকে অক্সিজেন দিতেে চেয়েছেন।
তিনি নিজেকে এদিন ” আহত বাঘ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন ” বাংলার সরকার কে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করছে ।আমাকে এত দুর্বল ভাববেন না।”
বিরোধীদের একহাত নিয়ে নেত্রী বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে লাগাতার অপপ্রচার চলছে। বিরোধীরা কি উন্নয়নের কর্মসূচি একবারও চোখে দেখতে পায়নি।
সভা শেষ হতেই বিরোধী দলের বক্তব্য, তৃণমূলের কাছে করোনা আবহে এই ভার্চুয়াল সভা নতুন হলেও নেত্রীর বক্তব্যে নতুন কিছু নেই।
করোনা যুদ্ধের মাঝেই একুশেই একুশের নির্বাচনী যুদ্ধের শঙ্খনাদ তৃণমূল নেত্রীর কিন্তু থেমে নেই বিরোধী দলগুলো। আত্মবিশ্বাসী বিজেপি হোক কিংবা সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি প্রাপ্ত সিপিএম রাজনৈতিক যুদ্ধে নেমে পড়েছে সবাই। এখন দেখা যাক করোনাকে সাথে নিয়ে বাংলার মানুষ কি ভাবছে আগামী দিনে… অপেক্ষার শুরু হলো।