জিরো পয়েন্ট নিউজ – আলেক শেখ, কালনা, ১৪ অগাস্ট ২০২০:
কেরল, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যগুলো যদি পারে, তবে পশ্চিমবঙ্গ কেন পারবে না ? কালনা-২ ব্লকের গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার একগুচ্ছ দাবিতে স্মারকলিপি দিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে। বিধায়ক বিষয়টি যথাযথ স্থানে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ গ্রামে ঘুরে ঘুরে করেন। বিনিময়ে গ্রামীন সম্পদ. কর্মীরা মাসে ভাতা পান মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। অথচ এদের দাবি কেরল, মেঘালয়, ত্রিপুরার গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের মাসিক বেতন চৌদ্দ হাজার টাকা। তাই এই রাজ্যের কর্মীদের কেন ঢাল- তরোয়াল হীন নিধিরাম সর্দ্দার হয়ে থাকতে হবে ? সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার রীতি নীতি মেনেই আমরা ২০১৫-১৬ সালে সম্পদ কর্মী হিসাবে কাজে যোগ দিই। সেই থেকেই আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করে আসছি। এই করোনা আবহে সংকটজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত মানুষ যখন ভয়ে ঘরবন্দি, সেই সময় সারা বাংলা জুড়ে আমরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহামারী করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। তবুও আমাদের কোন রকম সুরক্ষা ও জীবন বীমা নেই। পূর্বে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন– ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরেই গ্রামীন সম্পদকর্মীদের একটা সিস্টেমের মধ্যে এনে সম্মানজনক মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সেই সিস্টেমে এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই আজ বিধায়ক নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবিগুলোর মধ্যে আমাদের অন্যতম দাবি হল–মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো সিস্টেম চালু করে মাসিক ন্যূনতম বেতনের ব্যবস্থা করা হোক। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন–ফারুক উল আলম, সুমিত নন্দন, শুভঙ্কর দাম, শুকলাল মান্ডি, বাপন শেখ প্রমুখ।