জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ২২ অগাষ্ট, ২০২০:
পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ডিমের চাহিদা মেটাতে এখনও দক্ষিণ ভারতই ভরসা। ফলে ডিমের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, সেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে উন্নতমানের ডিম উৎপাদনে নতুন এক উদ্যোগ নিলো রাজ্যের সরকার। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’- এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক ফার্ম তৈরির পরিকল্পনা নেন রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, ডিম উৎপাদনেও ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক রাজ্য। তার জন্য তিনি উদ্যোগী হতে বলেছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছেপূরণে অত্যাধুনিক ফার্ম তৈরির পরিকল্পনা নেন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। আন্তর্জাতিক মানের ফার্ম তৈরির খোঁজখবর নিয়ে কল্যাণীতে এই ফার্ম গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নেন গোপালিকা। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ ৪.৫০টাকা মুরগীর ডিম কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, কল্যাণীর ‘ফার্ম’-এ উৎপাদিত ডিমের দাম রাখা হয়েছে সাড়ে চার টাকা। সরকারি মুরগির মাংসের দর বিগত কয়েক বছর ধরে ১৪০ টাকায় বেঁধে রেখেছে রাজ্য। একইভাবে সরকারি ডিমের দরও নির্দিষ্ট দামে আটকে রাখতে চাইছে দপ্তর। বাজারে ডিমের দর ওঠানামা চললেও, ক্রেতারা যাতে এই ডিম নির্দিষ্ট দামে কিনতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
সংবাদসূত্রে জানা যায় এসি ঘর! সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে তাপমাত্রা। সেই ঘরে বাস লক্ষ মুরগির। কড়া অনুশাসনে ছানাদের বড় করে তোলা। ছুটোছুটি, দাপাদাপির সুযোগ নেই। খাবার নিয়ে অশান্তির উপায় নেই। ঘড়ির কাঁটা মেনে খাবার। মুখের কাছে জুগিয়ে যাচ্ছে যন্ত্র। খাবার পর যথাসময়ে পানীয় জল। সেটাও আসে যন্ত্রে। আবার মুরগির বিষ্ঠা, পালক সাফাইয়েও কাজ করে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। আসলে, মুরগির ঘরে মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত। বাইরের হাওয়া-বাতাসেরও ঢোকার জো নেই। আক্ষরিক অর্থে অত্যাধুনিক ফার্ম। উন্নতমানের ডিম উৎপাদনের জন্য রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে মুরগিদের এমন বাসস্থান। এমনকি মুরগির ডিমও এসি ঘরের বাইরে আসছে মানুষের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে। তারপর বাজারজাত হচ্ছে ‘সরকারি ডিম’ নামে। ‘হরিণঘাটা মিট ব্র্যান্ড’-এর আওতায় এই প্রথম ডিম বেচছে রাজ্য। দাম পড়ছে সাড়ে চার টাকা।