26/04/2024 : 5:11 PM
আমার বাংলাকালনাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

হতাশায় ভুগছে রেশম খাদি শিল্পীরা

জিরো পয়েন্ট নিউজ – রীতা ভট্টাচাৰ্য, কালনা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


কালনা ২  ব্লকে অকাল পৌসে রেশম খাদি শিল্পীদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। কথায় বলে শিল্পীর কোনো কদর
নেই, করোনা ভাইরাসের মতন অশুভ শক্তির ছায়া সারাদেশ তথা মানব জীবনকে ধংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

এখানে উন্নত মানের খাদির কাপড় তৈরি হয়। তুলো থেকে হাতে চরকা কেটে সুতো বেরকরে, সেই সুতোকে ভাতের মারের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে দিতে হয় একদিন। তারপর ভাতের মার থেকে সুতো তুলে রাতের বাসি জলঢালা ভাত, খৈ, লেবু রস দিয়ে সুতোতে মার দেওয়া হয় এবং পরে সুতোকে চরকায় কেটে খাদির থান বানানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়। একটা খাদির থান বানাতে কখনো একমাস লাগে আবার কখনো ২০ দিন সময় লাগে কিন্তু মজুরি পরিশ্রম অনুযায়ী হয়না। অনেক কম মজুরি হওয়ায় সংসার কোনোরকমে চলে। এক কথায় বলা চলে মজুরিতে শিল্পীদেড় পরতা হয় না।

তারপর লক ডাউনের জন্য পুরো কাপড় বোনা বন্ধ, যেখানে অনেক গুলো মহিলা চরকায় সুতো কাটে, করোনা ভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে সুতো কাটা হচ্ছে না। সুতো তৈরী না হলে শিল্পীরা হাতে সুতো পাচ্ছে ফলে রেশম খাদি তৈরীও হচ্ছে না। সামনে পুজো, কিন্তু কোনো অর্ডার পাচ্ছে নেই, কাপড় তৈরি করে বাড়িতে লাটের পর লাট কাপড় জমা হচ্ছে। লকডাউনের জন্য মালিক আর কাপড় নিচ্ছে না, হতাশায় ভুগছে রেশম খাদি শিল্পীরা।

Related posts

রাইসমিলে কাজে যাবার সময় মেমারিতে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত যুবক

E Zero Point

বিজেপির কৃষকদের সন্মান জ্ঞাপন মেমারিতে

E Zero Point

মেমারি নতুন বাসষ্ট্যান্ডে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা

E Zero Point

মতামত দিন