সমকামিতার কারণে করোনাভাইরাস দিয়ে মানুষকে শাস্তি দিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা-এমন মন্তব্য করেছিলেন ইউক্রেনের এক শীর্ষ ধর্মযাজক। পেট্রিয়ার্ক ফিলারেট নামে ওই খ্রিষ্টধর্মগুরু নিজেই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইউক্রেনের অর্থোডক্স চার্চ কিয়েভ পেট্রিয়ার্কেটের প্রধান এ যাজক করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
৪ সেপ্টেম্বর গির্জা কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দেয় যে, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে ফিলারেটের।
মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে গির্জা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আজ পেট্রিয়ার্ক ফিলারেটের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল, তার চিকিৎসা চলছে। আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, সবাই যেন তার সুস্থতার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করে।’
মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপে যখন পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেসময় ৯১ বছর বয়সী ধর্মীয় যাজক ইউক্রেনের একটি টিভি চ্যানেলে মন্তব্য করেন, ‘মানুষের পাপের শাস্তি হচ্ছে এই করোনাভাইরাস। প্রথমত আমি বলল, সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে।’
তার এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সমকামী অ্যাকটিভিস্টরা। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সমকামিতা বৈধ; যদিও সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে এখনো আইনগত বৈধতা পায়নি দেশটিতে। পরিসংখ্যান অনুসারে ইউরোপের ৪৯টি দেশগুলোর মধ্যে সমকামিতাবান্ধব দেশ হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৫তম দেশ ইউক্রেন।
এদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করছে দেশটিও। ইউক্রেনে এক লাখ ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ হাজার ২১১ জন।