জিরো পয়েন্ট নিউজ – জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, মঙ্গলকোট, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০:
গত লোকসভা ভোটে বিপর্যয় ঘটার পর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ভোট কুশলী প্রশান্ত কুমারের শরণাপন্ন হন। তার পরামর্শে তিনি দ্রুত জনসংযোগে নেমে পড়েন। দলীয় দুই কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ ও ‘বাংলার গর্ব মমতা’-য় মানুষের বিপুল সাড়া পাওয়ার পর গত ১ লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’। এটা পুরোপুরি সরকারি প্রকল্প। এখানেও সাধারণ মানুষের বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও বিভিন্ন শিবিরে দলীয় কর্মীদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি দু’এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে।
উন্নয়ন ও জনসংযোগকে হাতিয়ার করে আসন্ন বিধানসভা ভোটে অবতীর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ১১ ই ডিসেম্বর শুরু হলো জনসংযোগমূলক দলীয় কর্মসূচি ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায় চার হাজার নেতা নিয়ে গঠিত ৯৫০ টি ‘টিম’ গড়ে তোলা হয়েছে। টিমে আছে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকার দলীয় বিধায়ক সহ জেলা ও ব্লক পর্যায়ের নেতারা। এই টিম নিজ নিজ এলাকার মানুষের সামনে গত দশ বছর ধরে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরবে। জানা যাচ্ছে প্রচারে বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য তৃণমূলের সরকারি সংগঠনের কর্মচারীরাও প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিটি এলাকায় ৪-৫ টি টিম কাজ করবে এবং তারা প্রায় ২৮ হাজার এলাকায় দলীয় সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরবে।
তার আগে ১০ ই ডিসেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের পক্ষ থেকে সরকারের গত ১০ বছরের সাফল্যের রিপোর্ট কার্ড জনগণের সামনে তুলে ধরা হয় ।
ইতিমধ্যে দলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে জেলা কমিটির কাছে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’-র প্রতিটি টিমের নামের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ২৫২ জনের নামের তালিকা এসে পৌঁছেছে।
তবে রাজনীতি মহলের আশঙ্কা মঙ্গলকোটের মত যে সব জায়গায় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে সেই সব জায়গায় ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। তাছাড়া বেশ কিছু জায়গায় পুরনো দিনের অবহেলিত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের রাখা হয়েছে। শাসকদলের বর্তমান গোষ্ঠী কি তাদের মেনে নেবে? – প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।