24/04/2024 : 10:19 PM
আমার বাংলাউত্তর বঙ্গকোচবিহার

গৃহবধূ বধূকে নির্যাতন ও গৃহ সংস্কারে বাধা অভিযোগ,শশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে

জিরো পয়েন্ট নিউজ – মৃন্ময় রায়, কোচবিহার, ৭ জানুয়ারি ২০২১:


স্বামী বেশ কয়েক বৎসর ধরে ভিনরাজ্যে কাজ করে l অথচ এক সময়, তাঁদের জীবনে প্রেম ছিল অফুরন্ত l বিয়ের হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই l যত! সমস্যার সূত্রপাত!!জানা গেছে ২০১৮ সাল নাগাদ, পরিবারের অপছন্দের একটি মেয়ের সাথে সামাজিক মতে বিয়ে হয় l নীলিমা বর্মন ও রানীরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত ১৮৩ শৌলমারি এলাকার যুবক প্রসেনজিৎ বর্মনের l বিয়ের কিছু দিন কাটতে না কাটতেই শুরু হয় গৃহবধূ নীলিমা বর্মনের উপর শশুর বাড়ির লোকের অকথ্য অত্যাচার ও নির্যাতন l এমনটাই দাবি করছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ l

ঘটনাটি ঘটেছে মেখেলিগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত রানীরহাট অঞ্চলের ১৮৩ শৌলমারি এলাকায় l জানা গেছে, ময়নাগুড়ি থানার অন্তর্গত ১ নং সাপ্টিবাড়ি অঞ্চলের
জাবারমালি এলাকার বছর ২২ সের নীলিমা বর্মনের সাথে সামাজিক মতে বিয়ে হয় l রানীরহাট অঞ্চলেরযুবক প্রসেনজিৎ বর্মনের l বিয়ের তিনমাস পরেই ছেলেকে আলাদা বা পৃথক সংসার করার জন্য, চাপ দেন,শশুর রতন বর্মন ও তার পরিবারের লোকেরা l সেই মোতাবেক, অন্য জায়গায় একটি ছাপড়া ঘর তৈরী করে সংসার বাধে, নীলিমা ও প্রসেনজিৎ বর্মন l

বর্তমানে তাঁদের একটা সন্তান ও রয়েছে l গত দুই বৎসর ধরে, স্বামী প্রসেনজিৎ বর্মন ভিনরাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজে যাওয়াতে,ছেলের অনুপস্থিতির সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নির্যাতনের পরিমান আরো বাড়ে l এমনটাই দাবি করছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ l

এদিকে গত বর্ষায় ছাপড়া ঘরটির মেরামত হয়নি l ফলে সেটি থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েছে l সে কারণে, এদিন স্থানীয় ক্লাব সদস্য ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরটি মেরামত করতে গেলে, বাধা প্রদান করে শশুর বাড়ির লোকেরা l ফলে, সেই সময় ক্লাবের সদস্যদের ও পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে শশুর বাড়ির লোকের ধস্তা ধস্তি হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর l

এব্যাপারে, নীলিমা বর্মন নামের ওই গৃহবধূ সংবাদ মাধ্যমকে জানায় l আমার স্বামীকে, কায়দা করে শশুর বাড়ির লোকেরা ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়ে আমার স্বামীর রোজাগারের টাকায় সংসার চালাচ্ছে শশুড়বাড়ির লোকেরা l তার স্বামী কোথায় আছে, কেমন আছে,তা তিনি জানেন না l তার স্বামীর টাকা পাঠালেও সেই টাকা তাকে দেওয়া হয়না l ফলে অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটাছেন তিনি l তিনি আরো বলেন তার স্বামীকে যাতে শশুর বাড়ির লোকেরা ফিরিয়ে দিয়ে, তাকে যাতে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় l এব্যাপারে, নীলিমা বর্মনের শশুর রতন বর্মন,মৌখিক ভাবে সংবাদ মাধ্যম কে জানান তার ছেলেকে তিনি অনেক দিন পৃথক করে দিয়েছেন, তার ছেলে ও তার পৃথক সংসার এর ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না l

Related posts

পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে বয়স্কদের পুজোর বস্ত্র প্রদান

E Zero Point

রাজনীতিতে কদর্যভাষাঃ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ পূর্বস্থলীতে

E Zero Point

খড়গ্রামে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার

E Zero Point

মতামত দিন