18/04/2024 : 9:19 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমেমারি

মেমারির বুকে এক টুকরো হিমাচল: শুরু আপেল চাষ, চাষিদের বিপুল অর্থলাভের সম্ভাবনা

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, মেমারি,  ১২ জানুয়ারি ২০২১:


পথপ্রদর্শক হিসেবে আবারো উজ্জ্বল হয়ে উঠলো মেমারি ক্রিষ্টাল মডেল স্কুলের নাম। গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যালয় আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে করোনা বিধি মেনে এলাকার তথা বাংলার কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে
স্কুলের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষের সূচনা করলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শ্রী অরুন কান্তি নন্দি ।


ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় ভারতের মধ্যে প্রথম স্কুল,যারা এলাকার চাষিদের আপেল চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিলেন । জানা গিয়েছে, এর আগে গুজরাট , কিংবা উত্তরপ্রদেশের পরিবেশে যে পদ্ধতিতে ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া আপেল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক সেই পদ্ধতিতেই অর্থাৎ ‘এইচ আর এম এন ৯৯’ প্রজাতির আপেল চারা ও বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাঁদেরই সহযোগিতায় পশ্চিম বাংলায় মেমারির এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তত্ত্বাবধানে সূচনা হলো আপেল চাষের। স্কুলের মাটিতেই হবে এই চাষ। এর আগেে আয়ুর্বেদিক জীবাণুনাশক টানেল বানিয়ে নজর কেড়েছে এই স্কুুল । জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর থেকে বিশেষ প্রজাতির আপেল গাাছের উদ্ভাবক হরিমান শর্মাার কাছ থেকে আপেল চারা নিয়ে আসা হয়েছে। দ্রুত রোপণের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে স্কুল প্রশাসন। ২০টি আপেল চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে জোরকদমে। ভারত সরকারের উক্ত সংস্থা ও স্কুুলের আশা, গাছ লাগানোর দু’বছরের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে উৎপাদন। আর সেটা হলে আপেল চাষে রাজ্যকে পথ দেখাবে এই স্কুল । বাণিজ্যিকভাবে এই আপেল চাষ যে সফল হবে কিংবা স্বাদে, আকৃতি বর্ণে কতটা হিমাচল সমমানের হবে সেই নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী গণ। স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন , স্কুলে আপেল চাষের বিশেষজ্ঞ তৈরির উদ্দেশ্যে ইকো ক্লাবের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক গণ কে চাষের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।


গুজরাট , বাংলাদেশের সিলেট , উত্তরপ্রদেশে বানিজ্যিক ভাবে আপেলের চাষ হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে স্কুল বুঝতে পারে , সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে এই এলাকার ৷ সেই কারণে আপেলের চাষ করার চিন্তাভাবনা শুরু করে স্কুল প্রশাসন৷
ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আশা করা যাচ্ছে চারা গাছ রোপণের পর উৎপাদন হতে সময় লাগবে দু’ তিন বছর। একটি গাছ থেকে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কেজি আপেল উৎপাদিত হবে এবং পরবর্তী দশ বছরে তা ৮০ থেকে ১০০ কেজি প্রতি বছর হবে।


ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানকে এলাকার কৃষক গণের মধ্য সঞ্চারিত করতে স্কুল বিশেষ ওয়ার্কশপের পরিকল্পনা করেছে। এই পরীক্ষা সফল হলে বাড়তি আয়ের জন্য স্থানীয় শ্রমিকদের ভিনদেশে যেতে হবে না। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা ।

Related posts

মেমারি থানার দেবীপুরে কালীমন্দিরের গ্রিলে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ

E Zero Point

এক দিনে ৫১,৯৬০ বোতল ফিনাইল তৈরি করে রেকর্ড গড়ল বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড

E Zero Point

মেমারির পুরাতন টিকিট বুকিং কাউন্টার এখন সাইকেল স্ট্যান্ডঃ মেমারি লোকাল চালুর দাবী বাম-কংগ্রেসের

E Zero Point

মতামত দিন