জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, এম. কে. হিমু, মেমারি, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১:
“বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” বাংলার এই প্রবাদ বাক্য নিয়ে স্কুলের খাতায় ভাবসম্প্রসারন করতে গিয়ে আমরা লিখেছি ফুলকে বৃন্তচ্যুত করে নানাভাবে সাজলেও যেমন তার প্রকৃতিগত সৌন্দ্যর্য ফিরে পাওয়া যায় না, বনের পাখিকে খাঁচায় পুষলে করলে যেমন তার জীবন প্রবাহ থেমে যায় ঠিক তেমনই শিশুর নিরাপদ আশ্রয়া মায়ের কোল, শিশুর আদুরে আব্দার মায়ের আঁচল কিংবা শিশুর দুষ্টমির শাস্তি মায়ের হাতে কানমোলা।
কিন্তু বর্তমান সামাজিক পরিকাঠামো ও পরিস্থিতিতে সেই মাকেও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’র লক্ষ্যে বেড়িয়ে পড়তে হয় আর সেখানেই মায়ের ছত্রছায়া হয়ে উঠেছে সাধনা ভট্টাচার্য ও বিজয় ভট্টাচার্যের স্বপ্নাঙ্গন শিক্ষানিকেতন।
রবিবার জামালপুরের আকাশ ও পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমিতির যৌথ উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের শিক্ষানিকেতনের মঞ্জুষা তরঙ্গিনী শিশুভবন ও শিশুলালনীর ৬০জন শিশুকে নিয়ে বনভোজন, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।
পল্লিমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান মূলত এখানে এলাকার খেতমজুর আদিবাসী পরিবারের বাবা, মা কাজে যাওয়ার আগের তাদের সন্তানদের শিশুলালনী তে রেখে যায় । খাওয়া দাওয়া ও পড়াশুনার করে তারা সারাদিন সেখানে। কাজের শেষে বাবা, মা শিশুদের বাড়ি নিয়ে যায়। সেই শিশুলালনীর শিশুদের আনন্দ দিতে শিক্ষানিকেতনের আচার্য প্রমথনাথ বুনিয়াদী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বনভোজন আয়োজন করে। খাওয়া দাওয়ার সাথে সাথে খেলা, নাচ, গানে মেতে উঠে শিশুরা তাদের হাতে খাতা, পেন, পেনসিল তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজক আকাশের সম্পাদক অয়ন চক্রবর্তী-জানান, বনভোজন মধ্যদিয়ে প্রকৃতি প্রতি ভালোবাসা ও মিলে মিশে কাজ করা ও সংস্কৃতি চর্চার পাঠ গ্রহন করবে বলে আশা।
বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, শিক্ষানিকেতনের পরিচালন কমিটি সম্পাদক জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সমাজসেবী জগবন্ধু রায়, সমাজসেবী সৌরিন ঘোষ সহ প্রমুখ বিশিষ্টজন।