সেখ আব্দুল মান্নান
শুধু ছোটদের উপযোগী সাহিত্য পত্রিকা আজকাল খুব কমই চোখে পড়ে। তার ওপর প্রায় দু’বছর যাবৎ করোনার প্রকোপে ছাপা পত্র-পত্রিকার আকাল। এই প্রতিকুলতা উপেক্ষা করেও ‘ছোট্ট জলছবি’র তরফে প্রকাশিত হয়েছে ‘বৈশাখ ১৪২৮, বিশেষ ছড়া সংখ্যা’। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসা ছোট্ট জলছবির এই বিশেষ সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট কবি রণজিৎ হালদার। হুগলীর কেশবপুর ভান্ডারহাটী থেকে প্রকাশিত এই বিশেষ ছড়া সংখ্যাটির শুরুতেই কলম ধরেছেন ভবানী প্রসাদ মজুমদার। যিনি বিগত কয়েক দশক যাবৎ বাংলা ছড়াকারের শিরোপা বহন করে চলেছেন। সুতরাং এ থেকে সহজেই অনুমেয় ছোটদের এই পত্রিকাটির গুরুত্ব কত। সংখ্যাটিতে সম্পাদক ও উদ্যোক্তারা যেমন বাংলার নামী ছড়াকারদের ছড়া সন্নিবিষ্ট করেছেন। তেমনি অনামী তথা নতুন ছড়াকারদেরও একগুচ্ছ ছড়া সংখ্যাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন ।
প্রবীন ও নবীন ছড়াকারদের মধ্যে রয়েছেন সুনির্মল চক্রবর্তী, অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার দত্ত, ধনঞ্জয় সিংহ, রাধারমণ ঘোষাল, সুনীতি মুখোপাধ্যায়, শীতল চট্টোপাধ্যায়, সুচিত চক্রবর্তী, বিজন দাস, সুচন্দ্রনাথ দাস, সোমনাথ চক্রবর্তী,প্রবীর জানা, বিজন গঙ্গোপাধ্যায়, সতীরঞ্জন আদক, সেখ আব্দুল মান্নান, বিধান সাহা, স্বপ্ন কুমার হালদার, কাশীনাথ মোদক, গোপালী গঙ্গোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রং, শিবরাম মোহান্ত,সেখ সিরাজ, অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাসমণি ব্যানার্জী, মহম্মদ মহসীন, অরুন্ধতী দত্ত দাস, তমালী ব্যানার্জী, সৃজনী ঘোষ, অনিমেষ রায়, অঞ্জলী দাস, সলিল মিত্র, কৃত্তিবাস চক্রবর্তী, প্রতীমা ঘোষাল প্রমুখ।
আট লাইনের ছোট্ট ছড়ার সম্পাদকীয়তে সম্পাদক অভিনব উপায়ে ছোটদের উদ্দেশ্যে বলেছেন: ‘ ছোট্ট সোনা বন্ধু আমার,/কেমন আছো তোমরা ভাই/জলছবিতে সাজিয়ে ছড়া/মিষ্টি হাসি দেখতে চাই।/পড়ার শেষে ছড়ায় এসে/খুশিতে মন ভরিয়ে নাও,/গড়িয়ে তোমার নরম ঠোঁটে/ চতুর্দিকে ছড়িয়ে দাও।’
ছোটদের উপযোগী এই ছোট্ট জলছবির দীর্ঘায়ু কামনা করি।
জিরো পয়েন্ট এ পুস্তক পর্যালোচনার জন্য যোগাযোগ করুন 9375434824