পূর্ব বর্ধমান জেলার না না প্রান্তে ইলেকট্রিক সরবরাহের জন্য পোলের মাধ্যমে তার দিয়ে ব্যবস্থা করা রয়েছে। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় এই ইলেকট্রিক তার বর্তমানে প্লাস্টিক কভার যুক্ত উন্নতমানের তারে পরিবর্তিত হয়েছে। যার ফলে সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুত বন্ধ থাকার সমস্যা যেমন একদিকে মিটেছে তেমনই আবার বাড়ির গা ঘেঁষে চলে যাওয়া তার বা ঝুলে থাকা তার থেকে ইলেক্ট্রিক শক লেগে দূর্ঘটনার মাত্রাও কমেছে।
সর্বপরি বিদ্যুত চুরির ঘটনাও কম হয়েছে। কিন্তু গ্রাম্য অঞ্চলে অনেকাংশে এখনও পুরোনো ইলেক্ট্রেকের তার বা খোলা তার থাকায় এই সমস্যা বহুলচর্চিত, সাথের ছবি মেমারি ১ ব্লকের দলুইবাজার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরমস্তপুর গ্রামের। বাড়ির একদম গা ঘেঁষে চলে গেছে ইলেক্ট্রিকের তার। কারুর আবার বাড়ির উপর দিয়ে গেছে তার, যার ফলে দূর্ঘটনার আশংকায় কাটছে প্রহর। নিজস্ব জায়গায় বাড়ি থাকা সত্বেও এই তার যন্ত্রণার স্বীকার অনেকেই এই জেলায় !
এছাড়াও রাস্তায় ঝুলে থাকা তার লড়ির গায়ে লেগে বা সামান্য ঝড়ে গাছের পাতা লেগে বিদ্যুত বিছিন্ন থাকার ঘটনা আকছাড় ঘট। খুব প্রত্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুত চুরির ফলে যোগ্য গ্রাহকরা সঠিক ভোল্টেজের থেকে বঞ্চিত থাকছে। এই সব সমস্যার একটাই সমাধান হতে পারর শহরাঞ্চলের মতন গ্রামেও সর্বত্র প্লাস্টিক কভার যুক্ত ইলেক্ট্রিক তারের ব্যবহার।
বিদ্যুত দপ্তরের কাছে অনুরোধ অতি দ্রুত গ্রাম্য এলাকা গুলিতে এই বিশেষ তারের মাধ্যমে বিদ্যুত পরিবহনের ব্যবস্থা হোক পুরোনো তার গুলি বদলে ফেলে। কিন্তু যতদিন পুরোপুরি ভাবে সেই কাজ না সম্ভব হচ্ছে ততদিন অন্তত দূর্ঘটনা প্রবণ জায়গা গুলিতে এই তারের উপর আপৎকালিন কভারের ব্যবস্থা করা হোক।
সন্দীপন সরকার,
পাল্লারোড, বর্ধমান
আপনিও লিখতে পারেন জিরো পয়েন্ট পাঠকের কলম বিভাগে। আপনার এলাকার যে কোন সমস্যা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।