জিরো পয়েন্ট নিউজ, এম. কে. হিমু, মেমারি, ২ অগাষ্ট ২০২২:
গত ১৯ মে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত রসুলপুরে তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজ খোলার পর চাষীরা জানতে পারে স্টোরেজের ৩ নং চেম্বারে ১লাখ ২০ হাজার প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে গেছে স্টোরেজে আভ্যন্তরীন গ্যাস লীকের কারণে। এর ফলে মালিক ও চাষীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হয় ক্ষতিপূরণের জন্য কিন্তু আজ প্রায় ২ মাসের উপর হতে চললো স্টোরমালিকের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। হিমঘরের গ্যাসলীক হওয়ার ফলে প্রায় সমস্ত আলু নষ্ট হয়। চাষীরা ক্ষতিপূরণের দাবীতে হিমঘরের মালিকের সাথে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু আজও কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি চাষীরা।
মঙ্গলবার সেইসব আলু চাষীরা বর্ধমানের কার্জন গেট সংলগ্ন জিটি রোড অবরোধ করে অবস্থান করে। আলুচাষীদের অভিযোগ দরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি। ক্ষতিপূরণ নিয়ে চারবার বৈঠক করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসক চাষীদের নিয়ে। উপস্থিত ছিলেন হিমঘর মালিকও । কিন্তু তারপরও ক্ষতিপূরণের আশ্বাসই মিলেছে , মেলেনি ক্ষতিপূরণ। তারই প্রতিবাদে আজ জিটি রোড অবরোধ ও ডিএম অফিস ঘেরাও করে সামিল হল হল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির রসুলপুর এলাকার চাষীরা।
জানা গেছে প্রায় ১৪০০ চাষি ও তাদের পরিবার চরম আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন । এরপর প্রশাসন ক্ষতিপূরণের দ্রুত ব্যবস্থা না করলে আত্মহত্যার পথ তাদের বেছে নিতে হতে পারে। এক চাষীকে গলায় পোষ্টার নিয়ে দেখা গেল। তাতে লেখা আছে আমাদের শেষ সম্বল আলুর মূল্য দিন নচেৎ আত্মহত্যার অনুমতি দিন।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ক্ষতিপূরণের সমস্যার সমাধান করতে সেখানে হিমঘর কর্তৃপক্ষের মামলার অজুহাতে প্রশাসন ও শাসকদলের নেতৃত্ব হাতগুটিয়ে বসে আছেন। কেউ এই প্রশ্ন তুলছেন না হিমঘরের গাফিলতিতে গ্যাস লীক হওয়ার কারণে চাষীদের আলুর ক্ষতি হলো, আর চাষীরা বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষতিপূরণ থেকে। প্রশাসন বলছে মামলা করেছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। দায় টা কার?