জিরো পয়েন্ট নিউজ – পরাগ জ্যোতি ঘোষ, গুসকরা, ২৬ নভেম্বর ২০২২:
সম্প্রতি একটি বিশেষ জনজাতির মধ্যে একটি মাত্র সন্তান নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। আর্থিক অসঙ্গতি বা সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে ঝুট ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার দোহাই দিয়ে তারা আত্মতৃপ্তি লাভ করছেন ।তাদের এই মিথ্যা আত্মজ্ঞানের পরিনাম যে কতখানি ভয়াবহ রূপ নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশ নিয়ে আসছে অদূর ভবিষ্যতে সে সম্পর্কে তাদের কোন চিন্তা নেই।
আজ থেকে ২০ বছর আগেও দেখা গেছে দুটি সন্তান কোল আলো করে আছে। তার আগে তো ৯-১০ জন ভাইবোন মিলে খুব সুন্দরভাবেই সংসার প্রতিপালন করে গেছেন আমাদের দাদু ঠাকুমারা। সরকারি বিধান মেনে জনসংখ্যা কমানোর জন্য দুটির বেশি নয় সিস্টেমে সচল ছিল সমাজ ।কিন্তু মাত্র একজন এইটা ভীষণ ক্ষতিকারক, অদূর ভবিষ্যতে এই নির্দিষ্ট জনজাতি সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। শুধু তাই নয় একটিমাত্র সন্তান সন্তানকে হীনমন্য্য করে তোলে। সঙ্গী হিসেবে ভাই বোন থাকলে ভাগ করে খাওয়ার যে অভ্যাস গড়ে ওঠার সুযোগ সে পায় সেটা আর হয়ে ওঠেনা একা থাকলে।
তার ফলে সে না শেখে দেওয়ার, না শেখে আত্মনিয়ন্ত্রণ ।আবার দুটি সন্তান নিলে কন্যা সন্তান ও পুত্র সন্তানের অনুপাতে একটি সাম্যতা থাকে। আবার প্রথম সন্তান পুত্র হলে কেউই দ্বিতীয় ইস্যুর কথা ভাবছেই না। কন্যা সন্তানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে এই নির্দিষ্ট জনজাতির পুরুষরা পাবে না তাদের সঙ্গিনী ।ফলে একটি বিশেষ ডিজঅডার নেমে আসবে তাদের সামাজিক জীবনে চীনের মত ।আবার এই নির্দিষ্ট জনজাতির যারা পিছিয়ে পড়া মানুষ বা আর্থিক ক্ষেত্রে বাস্তবিক দুর্বল তারা কিন্তু দুইয়ের অধিক সন্তান আনয়ন করে সঠিক দিশা দেখাতে পারছেন না তাদের সন্তানদের ।সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত ।কিন্তু যাদের আর্থিক সঙ্গতির কোন অভাব নেই তাদের এই “আমি তুমি ও সে” সিস্টেম যে কতখানি ভয়াবহ এই নির্দিষ্ট জনজাতির জন্য তা ভবিষ্যতেই বলবে। মনে রাখতে হবে শেষের সেদিন বড়ই ভয়ংকর।