জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, এম.কে হিমু, মেমারি, ১ জানুয়ারি ২০২৩:
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে যেমন এক শ্রেণীর বাঙালি মাতে হুজুগে-পিকনিক, ডিজে., পার্টিতে অন্যদিকে আর একধরনের বাঙালি মাতে কল্পতরু উৎসবে – ভক্তি, আরাধনা, ত্যাগ ও সেবায়। কল্পতরু উৎসব রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের লীলা মাহাত্ম্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই দিনটি। ১৮৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছ থেকে তার ভক্ত অনুরাগীরা এক অভূতপূর্ব আশীর্বাদ পেয়েছিলেন।
আর সেই দিন সকল ভক্তদের সম্মুখে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কল্পতরু রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই আজকের এইদিনটি কল্পতরু দিবস রূপে পরিচিত। সেই থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অনুগামীদের কাছে এই দিনটি ঠাকুরের একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে মহাসমারোহে পালিত হয়।
পয়লা জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ১৮৮৬ সালের সেই দিনকে স্মরণ করে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব। কাশীপুর উদ্যানবাটি, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি, সেই দিনটি পালিত হয় শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুরেও। আর তার সাথে সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাম্তে ভক্তেরাও নিজ নিজ এলাকায় পালন করে চলেছে এই কল্পতরু উৎসব।
রবিবার ভোর থেকেই পূজা অর্চনার মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ ব্লকের অন্তর্গত দেবীপুর স্টেশনবাজারে পালিত হলো ষষ্ঠ বর্ষ কল্পতরু উৎসব ও দরিদ্রদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান।
দেবীপুর শ্রী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের পরিচালনায় এই উৎসব হরীনাম সংকীর্তন ছাড়াও দুপুরে প্রায় ৪ হাজার মানুষের জন্য অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন প্রতিবছরের মতো এবছরও ৪০০ জন অসহায় দরিদ্র মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়।
দেবীপুর শ্রী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের আহ্বায়ক রাজেশ্বর দাস বলেন, ইংরেজি বছরের প্রথম দিন কে স্বাগত জানাতে যেভাবে আপামর বাঙালি আমোদ প্রমোদে মেতে ওঠেন, সেখানে ঠাকুরের কল্পতরু হওয়ার দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য কার্যত তাঁর ভক্তকুলের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে। মেমারির দেবীপুরে আমরা আমাদের সাধ্যমত মানুষের সেবা করে চলেছি। অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবাকার্ষে সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকি।