ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস তৈরি করে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে চিন, এই ধরণের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিলেন ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং। “চাইনিজ ভাইরাস” বা “উহান ভাইরাস” এই রকম কিছু নামেও ডাকা হচ্ছে ওই মারণ ভাইরাসটিকে । এই ধরণের সম্বোধনেও তীব্র আপত্তি জানালেন তিনি। ইচ্ছাকৃতভাবেই চিনের সঙ্গে ওই ভাইরাসের যোগ তৈরি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর। বেশ ক্ষুব্ধ স্বরেই তিনি বলেন, বিশ্বের উচিত “চিনের মানুষজনকে দোষারোপ” না করে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে “দ্রুত ব্যবস্থা” নেওয়া। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রীতিমতো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ রেখে চলেছে ভারত ও চিন। সেই বিষয়টি তুলে ধরে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে এবং এই কঠিন সময়ে মহামারী মোকাবিলায় একে অপরকে সমর্থন করছে দুই দেশ।
চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভারতের তরফ থেকে এই সময় চিনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং দুই দেশই এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এর জন্যে ভারতের প্রশংসা করি এবং ধন্যবাদ জানাই।”
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর তরফ থেকেও বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রবিন্দু চিন বা সেদেশের উহান প্রদেশ এই কথা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই চিনা মুখপাত্র বলেন: “যে সমস্ত লোকজন চিনের নামকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তাঁরা বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মানবজাতির কল্যাণে বরাবরই চিনের মানুষ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছেন”।
তিনি আরও বলেন, চিনের উহান প্রদেশের মানুষ করোনা ভাইরাসে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হলেও চিনই যে এই মারণ ভাইরাসের উৎসকেন্দ্র তা কিন্তু প্রমাণ হয়নি। “চিন এই ভাইরাসটি মোটেই তৈরি করেনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এর সংক্রমণও ঘটায়নি। তাই করোনাকে ‘চিনা ভাইরাস’ নামে ডাকা একেবারেই ভুল”, বলেন তিনি।
তবে চিনে করোনা আক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও পুরোপুরি থামানো যায়নি তাকে। মঙ্গলবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন নতুন করে করোন ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৭৮ জনের পরিসংখ্যান দিয়েছে। এর মধ্যে আবার ৭৪ জনই বিদেশ থেকে ওই ভাইরাস শরীরে বয়ে এনেছেন বলে খবর। এদিকে আরও ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় শি জিনপিংয়ের দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩,২৭৭ জন।