সম্পাদক সমীপেষু
২১ দিন আধপেটা খেলেও মরব না….
-পার্থসারথী তাপস, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান
২১ দিন আধপেটা খেলেও মরব না। কিন্তু করোনা ধরলে ঝাড়েগুষ্টিতে মরতে হবে। পরিবার প্রিয়জন সবাই মারা যাবে। করোনা সংক্রমণ হয়েছে বোঝার আগেই হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। আপনি নিজেকে সুস্থ ভেবে বাইরে থেকে সংক্রমণ এনে অজান্তেই নিজের ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজনের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন। তারা ছড়াবে অন্যদের মধ্যে। এত সংক্রমিত মানুষের কোনো হাসপাতালে জায়গা হবে না। ১৩৫ কোটির দেশে কোটিকোটি আক্রান্তের জন্য টেস্ট কিট, ওষুধ চিকিৎসক বেড, ভেন্টিলেটর কিছুই পাওয়া যাবে না। বিনা চিকিৎসায় লোকে বাড়িতে রাস্তা ঘাটে মরে পড়ে থাকবে।পরিবারের পর পরিবার, গ্রামকে গ্রাম, শহরের পর শহর উজাড় হয়ে যাবে। চিকিৎসা করার লোক দূরস্থান, মৃতদেহ সৎকার করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এত ছোঁয়াচে রোগের মৃতদেহ কেউ ছুঁতে চাইবে না।
গরিব মানুষকে সরকারি ব্যবস্থায় খাদ্য সরবরাহ করা হোক, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সুলভে সরবরাহ করা হোক। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না করোনাতে সব থেকে ভালনারেবল গরিব মানুষই। তাই লক ডাউন ভাঙ্গলে সেটা নিজের পরিবারের তথা গোটা সমাজের জন্য সম্পূর্ণ আত্মঘাতী হবে।
করোনা সাধারণ কোনো রোগ না, এটা একটা জৈব অস্ত্র, যা পারমাণবিক অস্ত্রের থেকেও ভয়ঙ্কর। সেভাবেই এটা তৈরি। দেশে পরমানু হামলা হলে যেমন সবার আগে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে হয় সব ভুলে, এক্ষেত্রে তেমনই নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ প্রয়োজন। সেটি আপনার নিজের বাড়ি, নিজের ঘর এবং সম্পূর্ণ সোশাল ডিস্টানশিং বা সামাজিক দূরত্ব। এই চিনা জৈব অস্ত্র থেকে বাঁচার আর কোন দ্বিতীয় বিকল্প নেই।
যারা পরিস্থিতির গুরুত্ব না বুঝতে পেরে এখনো রাস্তায় রয়েছেন, দয়া করে ঘরে ঢুকে পড়ুন, আর টানা ২১ দিন, সরকারি রেশন পেলে ভালো কথা, নইলে ঘরেই চিঁড়ে মুড়ি যা আছে খেয়ে কাটিয়ে দিন। এমন কিছু করবেন না সরকারকে আরও ২১ দিন লক ডাউন ঘোষণা করতে হয়। অত্যন্ত সংকটে না পড়লে বাইরে কখনোই বেরোবেন না। বেঁচে থাকলে খাবার সুযোগ অনেক পাওয়া যাবে। আনন্দ, আড্ডা, গল্প বেড়ানোর অনেক সুযোগ আসবে। কিন্তু, করোনা দ্বিতীয় সুযোগ দেবে না। ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।