এম. কে. হিমু, মেমারিঃ লকডাউনের পরিস্থিতিতে আমরা ঘরে বসে নানাবিধ বিনোদনে ব্যস্ত অথবা করোনা মোকাবিলায় রাজ্য-কেন্দ্রের আলোচনায়। কখনও ভেবে দেখেছেন কি অফিসে বা নিত্যকাজের জন্য যে বাস বা ট্রেকারে চেপে মেমারি বাসষ্ট্যান্ড পৌঁছান এবং ছুটে গিয়ে ট্রেন ধরার জন্য রেলষ্টেশনে আসেন কিংবা শহরে ব্যবসা করেত অখবা কেনাকাটা, ডাক্তার দেখাতে মেমারি আসার জন্য এই বাস-ট্রেকারই ভরসা। সেইসব বাস, ট্রেকারের ড্রাইভার, খালাসিদের আজ কি হালে দিন কাটাচ্ছে।। লকডাউনে তাদেরও আজ মিটার ডাউন। নেই কোন যাত্রী তোলার তাড়া কিন্তু দৈনন্দিন রোজগার বন্ধ, ফলে পকেট ফাঁকা।
তাদের এই খারাপ সময়ে পাশে এসে দাঁড়ালো মেমারি নিউ বাসষ্ট্যান্ড বাস ট্রেকার শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ সকাল থেকেই মেমারির আশে পাশে বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে সকল গণপরিবহনে যুক্ত শ্রমিকদের বিধিবদ্ধ ভাবে বাস ও ট্রেকারে করে মেমারি আসার ব্যাবস্থা করার পর তাদের কে ১০ কিলো চাল ও ৫ কিলো আলু দেওয়া হয় মেমারি পৌরসভার পুরপিতা স্বপন বিষয়ীর উপস্থিতিতে।
ইউনিয়ন সেক্রেটারি সুকান্ত হাজরা (বাবু) বলেন যে, প্রায় ৪০০ জনকে প্রাথমিক ভাবে চাল ও আলু দেওয়া হল। লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে, মানুষ করোনা প্রতিরোধে লকডাউন মানছেন কিন্তু রোজ যারা এই বাস ট্রেকারে কাজ করে মজুরী পান তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাধ্যমত ব্যবস্থা করছেন। পুরশুরি, সোনাডাঙ্গা, কুসুমগ্রাম, সাতগেছিয়া ও আশেপাশের স্টাফদের আমাদের ইউনিয়ন থেকে চেষ্টা করছি পাশে দাঁড়ানোর।