26/04/2024 : 9:52 AM
অন্যান্য

গুজরাতের সোনগড়ে প্রবাসী বাঙালির মানবিক রূপ

ব্রততী ঘোষ আলিঃ করোনার তার প্রভাব বিস্তার করেছে পৃথিবী জুড়ে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের সমস্ত রাজ্যে এখন ২১ দিনের লকডাউন, যা হয়তো আবার বাড়ানো হতে পারে। মানুষ অজানা শত্রুর সাথে লড়াই করছে ঘরে বসে। কিছু মানুষ আছে যারা ঘরে বসে লকডাউনের চর্চা ফেসবুক-টুইটারে করছেন আর কিছু মানুষ নীরবে নিভৃতে এই ভয়াল পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য সেবাকাজে ব্রত আছেন।

বানিয়া অর্থাৎ ব্যবসায়ীর রাজ্য গুজরাত, কিন্তু এই রাজ্যেই মানব সেবা থেকে জীব সেবা সব থেকে বেশি হয়। শুধু গুজরাতিদের মধ্যেই যে সেবাভাব আছে তা নয়, স্থায়ী বাঙালিদের মধ্যেও রক্তে মিশে আছে মানবসেবার মূল মন্ত্র। গুজরাতের তাপি জেলার সোনগড়ে দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ডা. মৃণাল ভট্টাচার্য। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হলেও তার মনের ইচ্ছা আকাশচুম্বী। লকডাউনের পরিস্থিতিতে সোনগড়ে প্রতিবেশী রাজ‍্য  রাজস্থান, মহারাষ্ট্র থেকে আসা দিনমজুরা আটকে গেছেন। স্থানীয় অগ্রবাল সমাজের ব্যবস্থাপনায় ডা. মৃণাল ভট্টাচার্য ও তার পরিবার এই অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় ৩০০ মানুষের দুবেলার সমস্ত অন্নসামগ্রীর খরচ তিনি বহন করছেন সেই লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই।

এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠিত সোনগড়ের বহুল পরিচিত সার্থক হাসপাতালের  রুগীর আত্মীয় পরিজনদের অন্নদান করে যাচ্ছেন। ডা. মৃণাল ভট্টাচার্যের স্ত্রী সুতপা ভট্টাচার্য ও পুত্র ডা. মানবেন্দু ভট্টাচার্য এই সেবাকার্যে যথাযথ সহযোগিতা করছেন।

শুধু সোনগড় নয়, সুরাত শহরে বাঙালি সমাজের মধ্যে জনপ্রিয় মুখ  ডা. মৃণাল ভট্টাচার্য। বিভিন্ন সংস্থার সাথে আত্মিক ভাবে যুক্ত তিনি।

 

Related posts

দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির খাদ্য সামগ্রী বিলি

E Zero Point

লকডাউনের মাঝে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা আজ উন্মুক্ত, ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ

E Zero Point

যেমন দেখি তাঁকে (চতুর্থ কিস্তি)

E Zero Point

মতামত দিন