বিশেষ প্রতিবেদকঃ চর্তুদিকে করোনার হাহাকার, দেশ, রাজ্য, শহর মেমারি লড়াই করছে করোনার মারাত্মক রূপ যেন দেথতে না হয়। লকডাউনের এই অবস্থার এলকার ভবঘুরেদের একমাত্র সহায় সেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্নদান। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ভবঘুরে মানুষের অন্নসংস্থানের দায়িত্ব নিয়েছে দধীচি ফাউন্ডেশন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিপ্লব সরকার ও অভিজিৎ ঘোষ – এর প্রথম মাথায় আসে দূর্গা পূজার আগে গরীব মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা সকল পরিচিত মানুষদের এই বিষয় নিয়ে বলতে থাকে যে কিভাবে করা যায় আর তাদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক যুবক বৃন্দ উৎসাহ দেখান। এরপর সকলে মিলে টাকা , পয়সা ও বস্ত্র একত্রিত করে ২০১৭ সালে মহালয়ার দিন বস্ত্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয়। তার পর সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছ থেকে সাহায্য ও সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চলতে থাকে নানান কর্মসূচি। দূর্গাপূজাতে পথ চলতি দর্শনার্থীদের পানীয় জল প্রদান শিবির। শীতকালে মেমারি, দেবীপুর, নিমো, বাগিলা ও গন্তার প্রভৃতি এলাকায় শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ। প্রত্যেক বছর রক্তদান শিবির আয়োজন। বিনামূল্যে গাছ বিতরণ ও মেমারির আশেপাশের এলাকায় বৃক্ষের চারা রোপণ। ২০১৮ সালে পবিত্র ঈদের দিন পুরুলিয়ার চারটি গ্রামে প্রায় ৫০০ জন মানুষকে বস্ত্র বিতরণ। পিছিয়ে পড়া ব্লকে সামাজিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত করা ও প্রয়োজনীয় খেলার সামগ্রী প্রদান করা। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি বক্লে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে প্রতি বছর প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান।
আর বর্তমান সময়ে সভাপতি সুখেন্দু ভট্টাচার্য ও সম্পাদক শুভেচ্ছা সামন্ত- এর র্নিদেশে পরিস্থিতির শিকার মানুষের পাশে সকল সদস্যবৃন্দ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ও অগনিত মানুষ দধীচি ফাউন্ডেশনের পাশে রয়েছে যা আমাদের এই কর্মকাণ্ড করতে উৎসাহিত করছে।।