সেখ নিজাম আলমঃ রাজ্য সরকার আগামী ২১ তারিখ থেকে বেসরকারী বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নিলেও,পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে তা চলার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। সরকারের বক্তব্য ২০ জন কিংবা ৩০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হবে। আবার পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য এই দূ্র্দিনে বাসভাড়া বাড়ানো যাবে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার বি.ডি.বি,-এর কর্ণধার শরৎ কোনার জানান, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করে বাস চালানো সম্ভব নয়। কারণ বাস মালিকদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।
পশ্চিম বর্ধমানের বাস কল্যাণ সমিতির সভাপতি নেতাই বসাক বলেন, এই ২০ টা প্যাসেঞ্জার নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া ২০ টির বেশি প্যাসেঞ্জার নিতে না চাইলে, সে এক আলাদা ঝামেলা। প্যাসেঞ্জার জোরপূর্বক বাসে উঠতে চাইবে,আর আমরা নিয়মানুযায়ী নিষেধ করব,এই নিয়ে বচসা তৈরি হবে বলেও তিনি জানান। বাস ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।
মেমারি নিউ বাসষ্ট্যান্ড বাস ট্রেকার শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সুকান্ত হাজরা (বাবু) জানান, লকডাউন শিথিল হলেও বাস ও ট্রেকার কোন কিছুই চালানো হবে না আগামী ২১ তারিখ থেকে। লকডাউন শিথিলতার পর যাত্রীদের যেমন অসুবিধা হবে ঠিক তেমনই বাস-ট্রেকার মালিকদের পক্ষে কম ভাড়াতে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করাও প্রায় অসম্ভব।
এদিকে বর্ধমান জেলা বাস নিত্যযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার রামপঙ্কজ গাঙ্গুলি জানান, বাস চালাতে হলে তেলের দাম কম নেওয়ার ব্যাবস্থা ও বাস কর্মচারীদের আলাদা সুযোগ না দেওয়া হলে বাস চালানো কঠিন বিষয় বটে। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে বাস চালানো উচিৎ। তবে ভাড়া কিছু বাড়াতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষ ২১ তারিখ থেকে বাস চলাচলের যে স্বপ্ন দেখছেন, তা এখনি কার্যকরী হবে বলে মনে হয় না।