04/05/2024 : 4:21 PM
অন্যান্য

জিরো পয়েন্ট রবিবারের আড্ডা | অসীমা সরকার, অর্পিতা চ্যাটার্জ্জী, মোঃ ইজাজ আহামেদ, অশোক কুমার রায়, ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য

জিরো পয়েন্ট সাহিত্য আড্ডা

রবিবারের আড্ডা

————–১২ এপ্রিল ২০২০ রবিবার—————

|| ফিরে দেখা ||
চারিদিকে কেমন অপূর্ব লাগছে। দিনের শেষের রোদে নগরী কেমন ঝলমল করছে। রোদের নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। তেজি চনমনে গন্ধ। অনেক দিন পরে রোদের গন্ধ পেলাম। এমন সুন্দর দিনে কার-ও উপর রাগ করতে নেই। বরং ভালোবাসা জানাতে হয় আর ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হয়। মানুষ তার এক জীবনে যে- শব্দটি সবচেয়ে বেশি শোনে তা হচ্ছে তার নাম। যতবারই শোনে ততবারই তার ভালো লাগে। পৃথীবির মধুরওতম শব্দ হচ্ছে নিজের নাম। পৃথীবির দ্বিতীয় মধুরতম শব্দ হচ্ছে খুব সম্ভবত 'ভালোবাসি'।

- সেখ আনসার আলি, জিরো পয়েন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা

কবিতাগুচ্ছ

মেনে চলা

অসীমা সরকার

অঘোষিত এক ছুটি,চলছে আজ কদিন ধরে–
বাঁচাতে সবাই সবার প্রাণ,ঠাঁই নিয়েছি নিজের ঘরে।

স্বভাব মোদের ছুটির দিনে,মেতে যাওয়ার আনন্দে,
ভেসে যাওয়া খুশীর মেলায়,সবার সাথে সানন্দে।

এই ছুটিটা একটু ফারাক,একটুখানি আলাদা–
বাঁচার জন্যে কেবল ছুটি,রোগমুক্ত থাকাটা।

বাঁচার জন্যে বাঁচতে চাই, সবার জন্যে ভাবতে চাই–
দেশের কাজ করতে চাই,আদেশ মেনে চলতে চাই।

দেশের শত্রু “কোরোনা”–কে,এসো সবাই দূর করি,
‘দূর হটাও’,’দূর হটাও’,’দূর হটাও’,–এই মহামারী।

তাই এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি, মেনে চলো ভাই–
দেশ-দশকে বাঁচাতে নিয়ম মেনেই ঘরে থাকতে চাই।

♥♥♥

একদিন পথে

মোঃ ইজাজ আহামেদ

পড়ন্ত বসন্তের এক পূর্ণিমা সন্ধ্যার পরে
হেঁটে যাচ্ছিলাম আমার প্রিয়ার সঙ্গে;
শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া দাঁড়িয়ে পথের দুইধারে;
নেই লোকজন পথে;
চাঁদের আলো গাছের ডাল পালার ভিতর দিয়ে
চুঁইয়ে পড়ছিল পথের উপরে;
জোছনা স্নান করে অনাবিল আনন্দে
চললাম পথ বেয়ে হাতে হাত রেখে
আমাদের গন্তব্যে;
সেই মধুর ক্ষণে সপ্নীল চোখে
হারিয়ে গিয়েছিলাম কোন রূপকথার দেশে,
হৃদয়ে অনুভব করছিলাম অনাবিল প্রশান্তি ক্ষণে ক্ষণে;
মনে হচ্ছিল গন্তব্য যদি না আসত
তবে কতই না ভালো হতো!
ওই জোছনা স্নাত পথে
চলতাম সারা রাত ধরে;
সেই পথ বেয়ে চলা মুহূর্তটা
দুইজন দুইজনা
রেখেছিলাম স্মৃতির ডাইরিতে লিখে।
সেই স্মৃতির ডাইরির পাতা উল্টালে
সেই দৃশ্য আমার নয়ন পটে ভেসে উঠে,
আমি তখন পড়ি নস্টালজিক হয়ে।

অপেক্ষা

অর্পিতা চ্যাটার্জ্জী

হয়তো দেখা হবে না আর দোঁহে
আমরা এখন হাজার যোজন দূরে,
মিলনেতে বাজলো না যে সুর
সে সুর আজি বাজছে হৃদয়জুড়ে…
ভীষণ রকম কষ্ট অপেক্ষাতে
তাতেও তুমি বাজাও মোহনবাঁশি,
আমার মনও সেই সুরেতেই গায়
ভালোবাসি ভীষণ ভালোবাসি…
পারিজাতের বনে আমি একা
ফুল কুড়িয়ে মালা গেঁথে রাখি,
গ্রীষ্ম দুপুর যেমন করে বৃথা
জল যাঞ্চে গো বোকা চাতকপাখি..
অপেক্ষাদের গোলাপ চাপা দিয়ে
যেদিন যাবো না ফেরাদের দেশে,
সেদিন দেখো মেঘ হয়ে সেই আমি
নীল আকাশে উড়বো ভেসে ভেসে…
তুমিও সেদিন যত্ন করে ভীষণ
বুকের মধ্যে আগলে আমায় রেখো,
যতই উষ্ম বাতাস আমায় ডাকুক
বৃষ্টি হয়ে ঝরতে দিও নাকো…..

♥♥♥

তবুও তোর জন্যই !

অশোক কুমার রায়

মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে শিয়রে.–
তবুও তোর জন্যই তুলে রেখেছি
দু- একটা ভালবাসার কথা ।
মহামারিকে দু’ পায়ে দলিয়ে
কড়ানাড়া দিবি তুই , জানি..।
তাই তো এখনো-
হলদে পাখিটা বাড়িছাড়া তো হয়নি ।
নয়ন তারায় এসেছে ফুল –
গোলাপে ধরেছে কুঁড়ি ।
জানি তোর জন্যই-
পৃথিবীটা কৃষ্ণচূঁড়ায় সাজবে রানি !
তাই তোর জন্যই রেখেদিয়েছি —
দু-একটা ভালবাসার কথা– এখনও. !

কবিতগুলো সম্পর্কে আপনার মন্তব্য করুন নীচের কমেন্ট বক্সে।সাপ্তাহিক ওয়েব পাতায় লেখা পাঠাতে হলে ইমেল করুন zeropointpublication@gmail.comবিষয় – রবিবারের আড্ডা উল্লেখ করবেন।

Related posts

শ্রমিকদের ট্রেনে নিয়ে আসার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রেলের সাথে পরিকল্পনা তৈরি করুক রাজ্য

E Zero Point

আউশগ্রাম ১নং ব্লকের ৭ টি অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

E Zero Point

কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্য

E Zero Point

1 টি মন্তব্য

অসীমা সরকার April 12, 2020 at 7:35 pm

মো:ইজাজ আহমেদের ‘একদিন পথে’–পড়ে বোঝা গেলো যে ‘প্রেম’
আর ‘স্মৃতি’—নস্টালজিক। ভালো লাগলো।

অর্পিতা চ্যাটার্জী র ‘অপেক্ষা’–তে প্রেমের ছোঁয়া বেশ ভালো লাগলো।

অশোক কুমার রায় – এর ‘তবুও তোর জন্যই’—কবিতা টিতে মৃত্যু
শিয়রে জেনেও প্রিয় মানুষের প্রতি টান এবং তার জন্যে বাঁচার তীব্র
আকাঙ্খা বেশ আবেগঘন।

উত্তর

মতামত দিন