24/04/2024 : 6:29 AM
অন্যান্য

জিরো পয়েন্ট রবিবারের আড্ডা | শিলাবৃষ্টি, হাস্নে আরা বেগম, মনোজকুমার রায়, সুশান্ত পাড়ুই, শুভাশিস মল্লিক

 

গল্প


চেয়ার

 ✒শুভাশিস মল্লিক

এই চেয়ারটি কবে হইতে আমাদের বাড়িতে পড়িয়া আছে সে সম্বন্ধে আমার কোনও ধারণা নাই। বাবা হয়তো বলিতে পারিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাবা যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন বিষয়টি আমি ভাবি নাই। আসলে জন্ম হইতেই চেয়ারটিকে অনাদর আর অবহেলায় বাতিল জিনিসপত্র রাখিবার ঘরে একইভাবে পড়িয়া থাকিতে দেখিয়াছি বলিয়াই সম্ভবত উহার প্রতি তেমন কৌতূহল কোনওদিন অনুভব করি নাই। তখন যৌবন ছিল, রক্তের তেজ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই নূতন চটকদার জিনিসের প্রতি আগ্রহটা বেশি জন্মাইত। কিন্তু এখন বয়স হইয়াছে। রক্তের তেজও আর আগের মতো নাই। এই অবস্থায় পুরনো, বাতিল এইসব জিনিসের প্রতিই আগ্রহটা যেন একটু বেশি করিয়াই জন্মাইতেছে, বুঝিতে পারিতেছি।

চেয়ারটি কাঠের, পালিশ করা। আকারে সাধারণ চেয়ার হইতে কিছুটা বড়। কাঠগুলিও বেশ মোটা হওয়ায় ওজনেও বেশ ভারী। কিন্তু ইহাই সব নয়। এমন দুইটি জিনিস এই চেয়ারটির মধ্যে আছে, যাহা নিমেষে অন্য যে কোনও চেয়ার হইতে এই চেয়ারটিকে আলাদা করিয়া দিবে। তাহা হইল হাতল দুইটির সম্মুখে কাঠের ওপর খোদাই করা দুইটি সিংহের মুখ! কোনও এক শিল্পী তাহার অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়া হাতল দুইটির মধ্যে দুইটি সিংহের মুখ ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। ধুলোর পাহাড় জমিয়া সেই শিল্পকর্ম প্রায় ঢাকা পড়িয়াছিল। এতদিন ধরিয়া দেখিতেছি, তবু কোনওদিন উহাদের আসল রূপটি বুঝিতে পারি নাই। বহু আয়াস এবং যত্নের মধ্য দিয়া কখনও কাপড়ের টুকরো, বা কখনও ব্রাশ দিয়া ঘষিয়া ঘষিয়া বর্তমানে সেগুলিকে পুনরায় উদ্ধার করিতে সক্ষম হইয়াছি। চেয়ার চেয়ারই। কিন্তু গোল বাধিয়াছে কেবল ঐ সিংহের মুখদুইটিকে লইয়া। সিংহের মুখ খোদাই করা চেয়ারকে কী বলা উচিত? সিংহাসন!

সিংহাসন বলা যাইতেই পারে। কিন্তু ভাবিয়া দেখিলাম সিংহাসন হিসাবে উহাকে কল্পনা করা একটু কষ্টকরই হইবে। তাছাড়া আমাদের বংশে কেও কোনওদিন রাজা বা জমিদার তো ছিলেনই না, নিদেনপক্ষে দশ –বারো বিঘা জমির মালিক হইবার ভাগ্যও কাহারও হয় নাই। আমার ঊর্ধ্বতন দ্বিতীয় পুরুষ অর্থাৎ কিনা আমার ঠাকুরদা ছিলেন সওদাগরি আপিসের করনিক। ছোটবেলায় বগলে ছাতা লইয়া ঈশ্বরের নাম স্মরণ করিতে করিতে প্রতিদিন সকালে ওনাকে আপিস যাইতে দেখিতাম। আর বৈকালে আমরা যখন মাঠে দাপাদাপি করিতাম, তখন ক্লান্ত অবসন্ন শরীরটাকে টানিতে টানিতে উনি বাড়ি ফিরিতেন। ইহার পর সন্ধ্যাবেলায় আমরা যখন পড়া মুখস্থ করিতাম, তখন ঠাকুমার দেওয়া একবাটি মুড়ি লইয়া বারান্দার মেঝের ওপর বসিয়া দীর্ঘক্ষণ ধরিয়া সেই মুড়ি উদাস হইয়া চিবিয়া যাইতেন।

আমার বাবা ছিলেন আবগারি অফিসের মেজবাবু। ছোট্ট একখানি ভুঁড়ি লইয়া সারা দিনমান আপিসেই বসিয়া থাকিতেন। ওনার মুখেই শুনিয়াছি এমনিতে আপিসে কাজের চাপ খুব একটা ছিল না। শুধু মাঝে মাঝে বড়বাবুর ঘর হইতে যখন ডাক আসিত তখন বুঝিতেন এইবার কোনও ঠেক ভাঙিতে যাইতে হইবে।

আর আমি ছিলাম একটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের হিসাব রক্ষক। জীবনের অধিকাংশ সময়টা অপরের টাকা পয়সার হিসাব রাখিয়াই কাটাইয়া দিয়াছি। শখ আহ্লাদ বলিতে সেরকম কিছু ছিল না। মাঝে মাঝে কেবল রবিবার করিয়া স্ত্রীর সহিত সিনেমা হলে বাংলা ছবি দেখিতে যাইতাম। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বহুদিন হইল সেটিও ত্যাগ করিয়াছি।

চেয়ারের কথা বলিতে যাইয়া আমাদের তিন পুরুষের কথা উল্লেখ করিবার কারণ একটিই। সেটি হইল আমাদের কাহারও ঐরূপ একটি চেয়ার বানাইবার ইচ্ছা যে নিতান্তই আকাশকুসুম, তাহা পাঠককে বুঝাইয়া দেওয়া।

এখন পাঠক না হয় বুঝিতে পারিল। কিন্তু আমার চিন্তা যে তাহাতে বিন্দুমাত্র কমিল না। আমার ঊর্ধ্বতন দুই পুরুষের মধ্যে কেহ যদি নাই করিয়া থাকেন, তাহলে চেয়ারটি করিল কে? চাকুরি হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর সারা দিনটাই কাটিয়া যায় অলস ভঙ্গিতে। আর সেইসব অলস মুহূর্তে ঐ একটিই প্রশ্ন শুধু মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাইয়া যায়।

এইবার একটি কাজ করিলাম। নিজের হাতে ঝাড়পোঁছ করিয়া চেয়ারটিকে অনেকখানিই ভদ্রস্থ করিতে পারিয়াছিলাম বটে, কিন্তু এইবার মনে হইল উহাকে কিছুটা মেরামত করিবারও প্রয়োজন রহিয়াছে। সেইমতো পাড়ার চেনাজানা এক বয়স্ক কাঠের মিস্ত্রিকে ডাকিয়া আনিলাম। আমাদের বাড়ির যাবতীয় কাজ ওনাকে দিয়াই করানো হইলেও ইতিপূর্বে এই চেয়ারটিকে উনি কোনওদিন দেখেন নাই। আজই প্রথম দেখিলেন এবং দেখিয়া যে বিস্মিতও হইলেন সেটিও বুঝিতে পারিলাম।

চেয়ারের কাঠটি সম্বন্ধে আমার কিঞ্চিৎ সংশয় ছিল। ওনাকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিতে পারিলাম মেহগিনি। শুনিয়া আশ্বস্ত হইলাম। কেননা এইরূপ চেয়ারের সহিত তো ঐরূপ কাঠই মানায়! তাছাড়া উচ্চ মানের কাঠের জন্যই যে চেয়ারটি এতদিন অবধি টিকিয়া রহিয়াছে, সেটিও উনি আমার কাছে প্রকাশ করিলেন।

মেরামত হইয়া যাইবার পর চেয়ারটিকে নিজের শোওয়ার ঘরে লইয়া আসিলাম। কে, কখন হুট করিয়া আসিয়া উহার উপর বসিয়া পড়ে সেই ভয়েই বসার ঘরে ইচ্ছা করিয়াই উহাকে রাখিলাম না। কিন্তু শোওয়ার ঘরে রাখিয়া আর এক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়িতে হইল। শোওয়ার ঘরে যেসব আসবাব রহিয়াছে, তাহারা প্রায় কেহই চেয়ারটির পাশে থাকিবার যোগ্য বলিয়া মনে হইল না। অধিকাংশ হাল আমলের মামুলি সব জিনিস। আভিজাত্যে চেয়ারটির সহিত পাল্লা দিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই।

অনেক চিন্তা করিয়াও জুতসই কোনও জায়গা যখন খুঁজিয়া পাইলাম না, তখন আর চিন্তা না করিয়া ড্রেসিং টেবিলের পাশে উহাকে রাখিয়া দিলাম। ঐ জায়গায় দুইটি ফাইবারের চেয়ার ছিল। সেই দুটিকে বসার ঘরে লইয়া আসিলাম। অচিরেই চেয়ারটি আমার সবচাইতে প্রিয় জিনিস হইয়া উঠিল। দীর্ঘক্ষণ ধরিয়া উহার দিকে তাকিয়া থাকি। নিয়মিত ঝাড়পোঁছ করি। সামান্য ধুলোও উহার উপর পড়িতে দিই না।

শোওয়ার ঘরে রাখিবার ফলে চেয়ারটি অবশ্য লোকচক্ষুর অন্তরালেই থাকিয়া যাইল। মুষ্টিমেয় যে কজন মাঝে মধ্যে আমার সহিত গল্প করিতে আসে, তাহাদের সহিত গল্পগুজব সাধারণত বসার ঘরেই করিয়া থাকি। এইবার ব্যবস্থাটি আরও পাকা করিলাম।

কিন্তু ইহাতে হইল কি, কিছুদিন পর হইতে নিজের মনটাই কীরকম খুঁতখুঁত করিতে লাগিল। মনে হইতে লাগিল, এত বড় একটা জিনিস আমার ঘরে শোভা পাইতেছে, অথচ কেহ জানিতে পারিবে না!

অথচ আগে এইরূপ ছিল না। কোনও বাড়িতে নূতন কোনও জিনিস আসিলে পাড়ার লোক হুমড়ি খাইয়া আসিয়া পড়িত। একবার নিজের চোখে জিনিসটি না দেখিলে প্রতিবেশীদের জীবন যেমন সার্থক হইত না, ঠিক তেমনি তাহারা না দেখিলে গৃহকর্তাও নূতন জিনিসের আনন্দটুকু পুরোপুরি উপভোগ করিতে পারিতেন না। আমার বেশ মনে আছে, আমার বাবা যখন ঐ ড্রেসিং টেবিলটি খরিদ করিয়া আনিয়াছিলেন, তখনও পাড়ার লোক ঐভাবে ভিড় করিয়াছিল। তখন অধিকাংশ বাড়িতে ড্রেসিং টেবিল ছিল না বটে, কিন্তু লোকেদের অভিজ্ঞতার খামতি থাকিবার কোনও কারণ তাহাতে ঘটিত না। কেহ বলিয়াছিল, পালিশটি আর একটু ভালো হওয়া উচিত ছিল। কাহারও মতে কাঠটি আর একটু দেখিয়া লইতে হইত। আর একজন মন্তব্য করিয়াছিল, দাম দিয়া কিনিয়াছেন যখন, তখন আয়নাটা বেলজিয়াম কাঁচের লইলেই ভালো করিতেন!

আমার সবচাইতে ঘনিষ্ঠজন শ্যামলকে তাই চেয়ারের কথাটা একদিন বলিয়াই ফেলিলাম। তৎক্ষণাৎ চেয়ারটি দেখিবার জন্য ও আগ্রহ প্রকাশ করিল।

শ্যামল দেখিল। কিন্তু শুধু একজনকে দেখাইয়া ঠিক মন ভরিল না। ক্রমে ক্রমে আরও কয়েকজনকে দেখাইলাম। সকলেই বেশ তারিফ করিল এবং এইরূপ একটি চেয়ার যে আমাদের বাড়ি এবং বংশ উভয়েরই আভিজাত্য বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করিয়াছে সেটি স্বীকার করিল।

কথাটি মনে ধরিল। কে, কবে কী উদ্দেশ্য লইয়া চেয়ারটি তৈয়ারি করিয়াছিলেন, তাহার কিছুই জানিতে পারি নাই। কিন্তু সেই অজানা পূর্বপুরুষটির কথা ভাবিতে গিয়া তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতায় আপন মাথাটি আপনা হইতেই নত হইয়া আসিল। সে কথাটি ভাবিতে গিয়া আমার মনে হইল, এই কদিন আমি একটি ভুল করিয়া ফেলিয়াছি। পূর্বপুরুষদের কথা চিন্তা করিতে গিয়া আমি কেবল নিজের বাবা এবং ঠাকুরদার কথাই ভাবিয়া গিয়াছি। কিন্তু আরও কত দাদু এবং কাকা জ্যাঠা লইয়া আমাদের পরিবারটি যে একসময় কত জমজমাট ছিল তাহা বিস্মৃত হইয়াছিলাম। অকস্মাৎ চোখের সম্মুখে তখনকার দিনের ছবিটি যেন ফুটিয়া উঠিল।

আমার দাদুরা ছিলেন চার ভাই। সকাল হইলেই আমার কাজ ছিল কেবল এক দাদুর কাছ হইতে আর এক দাদুর কাছে ঘোরা এবং কাহার নিকট কোন জিনিসটি আবদার করা যায়, তাহা বুঝিয়া লওয়া। এক দাদুর হাত ধরিয়া সকালে বাজার যাইলে, অন্য দাদুর সহিত বিকেলে মুদিখানার দোকান যাওয়া। সকালে বাজার হইতে ফিরিবার সময় রসগোল্লা খাওয়া তো, বিকেলে লজেন্স আদায় করা!

আর ছিল খুড়তুতো, জ্যাঠতুতো মিলিয়া সাত আট ভাই বোন। তাহাদের সহিত একসঙ্গে খাওয়া, খেলাধূলা, পড়িতে বসা। সবকিছুই মনে পড়িয়া যাইতে লাগিল। এক এক করিয়া দৃশ্যগুলি মনের মধ্যে ভাসিয়া উঠিতে লাগিল, আবার পরক্ষণেই সেই দৃশ্য চলিয়া যাইয়া অন্য দৃশ্য আসিয়া ভিড় করিতে লাগিল।

ক্রমে ক্রমে এটি আমার একটি খেলা হইয়া দাঁড়াইল। সময় যখন কিছুতেই অতিবাহিত হইতে চাহে না, আমি তখন এই নূতন বাড়ি আর ইহার সংলগ্ন পুরনো বাড়ির আনাচে কানাচে ঘুরিয়া বেড়াই আর ফিরিয়া যাই উজ্জ্বল সরগরম সেই দিনগুলিতে। এবং তখনই উপলব্ধি করি সত্য সত্যই একদিন কেহ ঐ চেয়ারে বসিয়া থাকিতেন। তাহার নাই বা ছিল সাম্রাজ্য, নাই বা ছিল জমিদারি। কিন্তু একটি জিনিস অবশ্যই ছিল। সেটি হইল এক বৃহৎ পরিবার। সেই পরিবারের সর্বময় কর্তা হিসাবে তিনি ঐ চেয়ারে বসিয়া থাকিতেন আর সেখানে বসিয়াই পুরো পরিবারটিকে নিয়ন্ত্রণ করিতেন।

তিনি কে ছিলেন, আমার দাদুদের কেহ, নাকি তাহাদেরও বাবা কিংবা জ্যাঠা, তাহা কোনওদিনই আর জানিতে পারিব না। শুধু এইটুকুই বুঝিতে পারিতেছি যে, বহু যুগ এবং কয়েকটি প্রজন্ম পার হইয়া চেয়ারটি আজ আমার হাতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। চেয়ারটি ফিরিয়া পাইয়াছি বটে, কিন্তু সেই পরিবারটিকে আর কোনওদিনই ফিরিয়া পাইব না। এত বড় দেশে আমার সেই খুড়তুতো, জ্যাঠতুতো ভাই বোনেরা কে কোথায় ছড়াইয়া ছিটিয়া রহিয়াছে তাহার কোনও সন্ধান পাইবারই আর উপায় নাই। শুধু একা আমি কুম্ভ হইয়া রহিয়া গিয়াছি।

পুরনো বাড়ির ভাঙা চোরা বারান্দায় দাঁড়াইয়া প্রায় প্রতিদিনই সূর্যাস্ত দেখি। আজকেও পড়ন্ত বিকেলে সেই দৃশ্যই দেখিতেছিলাম। দেখিতে দেখিতে মনে হইল আমার দিনও দ্রুতই শেষ হইয়া আসিতেছে। নিজের জন্য আর কিছু ভাবি না। কেবল চেয়ারটিকে লইয়াই চিন্তা। আমি চলিয়া যাইলে চেয়ারটির কী হইবে? কে লইবে উহার দায়িত্ব?

ভাবিলাম ফোন করিয়া ছেলেকে ডাকিয়া আনি। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইল ছেলের যা কাজের চাপ, এই সামান্য কারণে ডাকিলে নির্ঘাৎ বিরক্ত হইবে। ইচ্ছাটিকে তাই ত্যাগ করিতে হইল।

কিন্তু অন্য একটি ইচ্ছা কিছুতেই ত্যাগ করিতে পারিলাম না। এতদিন কোনও এক অজ্ঞাত কারণে একটি বারের জন্যও চেয়ারটিতে বসি নাই। যতবারই ইচ্ছা হইয়াছিল, ততবারই এক অদ্ভুত আড়ষ্টতা পাইয়া বসিয়াছিল। কিন্তু দিন যখন শেষ হইয়া আসিতেছে বলিয়া বোধ হইতেছে, তখন আজ অন্তত একটিবার চেয়ারটিতে বসিবার সাধ প্রবল হইয়া উঠিতে লাগিল।

সূর্য অস্ত যাইল। এক অদ্ভুত আলো আঁধারি পরিবেশের মধ্য দিয়া নূতন বাড়িতে ফিরিয়া আসিলাম। ইচ্ছা করিয়াই আলো জ্বালিলাম না। আগে চেয়ারটিতে বসি। তারপর আলো জ্বালিব।

কিন্তু শোওয়ার ঘরের দরজার কাছে আসিয়াই থমকে দাঁড়াইয়া পড়িলাম। মনে হইতেছে চেয়ারটিতে কেহ বসিয়া রহিয়াছে! দপ করিয়া মাথায় আগুন জ্বলিয়া উঠিল। কাহার এত সাহস হইয়াছে যে আমাকে না জানিয়া চেয়ারটির ওপর বসিয়া রহিয়াছে!

ভালো করিয়া তাকাইলাম। এবং তখনই পিঠের শিরদাঁড়া বাহিয়া ভয়ের এক শিহরণ খেলিয়া যাইল। আধো অন্ধকারের মধ্যেও স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম চেয়ারটির উপর যেন আমিই বসিয়া রহিয়াছি!

************************************************

১লা বৈশাখ, বর্ষবরণ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। সকলে পড়ে দেখুন ও মতামত দিন। e-জিরো পয়েন্ট – বৈশাখী ১৪২৭
রবিবারের আড্ডায় লেখা পাঠাতে হলে zeropointpublication@gmail.com ইমেইল এড্রেসে টাইপ করে পাঠান। অবশ্যই লেখাটি অপ্রকাশিত হতে হবে।
e-জিরো পয়েন্ট –মাসিক  ই-ম্যাগাজিনে লেখা পাঠাতে হলে ইমেল করুন  zeropointpublication@gmail.com 

বিষয় – রবীন্দ্র-নজরুল আগামী মাসিক ই-ম্যাগাজিনে উল্লেখ করবেন। লেখা পাঠানোর শেষ তারিখঃ ২০ শে বৈশাখ ১৪২৭

ধন্যবাদ সহ
আনোয়ার আলি
সম্পাদক, জিরো পয়েন্ট।

 

Related posts

জেলায় জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস

E Zero Point

রমজানের শেষ দশকে যেসব আমল করতে হবে

E Zero Point

ক্যামেরায় আর চোখ রাখবেন না বিশিষ্ট চিত্রসাংবাদিক রণজয় রায়

E Zero Point

2 মন্তব্য

শুভাশিস মল্লিক April 19, 2020 at 8:53 pm

খুব ভালো উদ্যোগ। লেখাগুলোও বেশ ভালো। আরও সমৃদ্ধি কামনা করি।

উত্তর
মুস্তারী বেগম April 19, 2020 at 11:07 pm

অসাধারণ মেধা ও মননে তব যাত্রাপথ অটুট থাকুক।শুভকামনা

উত্তর

মতামত দিন