29/03/2024 : 9:06 PM
অন্যান্য

e-জিরো পয়েন্ট – বৈশাখী ১৪২৭

নববর্ষ সংখ্যা – ১ বৈশাখ ১৪২৭, মঙ্গলবার


অনুক্রমিকা


প্রচ্ছদঃ অপূর্ব   ♦ সম্পাদকীয়ঃ আনোয়ার আলি ⇒ পৃষ্ঠা -১ ফিরে দেখাঃ অজয় কুমার দে ⇒ পৃষ্ঠা -২  ♦ কবিতাঃ শংকর হালদার,রজত ঘোষ ⇒ পৃষ্ঠা -৩ ♥ শম্পা গাঙ্গুলী ঘোষ, মুস্তারী বেগম ⇒ পৃষ্ঠা -৫ ♥ রতন নস্কর, সৈয়দ সেরিনা ⇒ পৃষ্ঠা – ৭ ♦ গল্পঃ রণজিৎ মল্লিক (কবিরুল) ⇒ পৃষ্ঠা -৪ ♥ অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য) ⇒ পৃষ্ঠা – ৬ ♥ অসীমা সরকার ⇒ পৃষ্ঠা – ৮ ♦ ভ্রমণঃ শিবব্রত গুহ ⇒ পৃষ্ঠা – ৯ ♦  শেষ পাতাঃ আরণ্যক বসু – ব্রততী ঘোষ আলি ⇒ পৃষ্ঠা – ১০

প্রচ্ছদ অঙ্কনঃ অপূর্ব সু


সম্পাদকের কথা


ময় থেমে থাকে না, সময় অনন্ত কালের চক্রে চলমান। আমরা মানুষ তাকে বাঁধি চার দেওয়ালে ঘড়ির কাঁটায় অথবা ক্যালেন্ডারের পাতায়। চিরস্থির আলোকউৎস থেকে পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন বাংলার ঘরে ঘরে আলোকরশ্মি ছড়িয়ে পড়বে তখনই বাঙালির মনের উঠোনে – শুরু হবে এক নতুন বছর – ১৪২৭ বাংলা নববর্ষ । বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রকোপে মানব সংসার আজ গৃহবন্দী। ঘরের বাইরে অদৃশ্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন মানবকুল আর ঘরের ভিতরে সচেতন নাগরিক সময়ের সাথে লড়াই করছে নতুন করোনামুক্ত ভোরের প্রতীক্ষায়। প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে এই অদৃশ্য যুদ্ধে প্রয়োজন মানুষের সচেতন হওয়ার, প্রকৃতি তো উজাড় করে দিয়েছে তার সম্পদ মানুষেরই জন্য, তাকে রক্ষা করা মানুষেরই কর্তব্য। আসুন নতুন বছরে নতুন শপথ হোক প্রকৃতিকে সম্মান জানিয়ে মানবসভ্যতার উন্নয়ণ হোক। তার সঙ্গে মানবিকগুণে বিকশিত হোক আমাদের সকলের মন।
জিরো পয়েন্ট তার ৩২ বছরের দীর্ঘ পাক্ষিক সংবাদ পত্র প্রকাশনার সাথে সাথে, প্রতিষ্ঠাতা সেখ আনসার আলির প্রথম প্রয়াণতিথি থেকে জিরো পয়েন্ট আর্ন্তজাল জগতে প্রবেশ করে www.ezeropoint.net -এ। প্রতি বাংলা মাসে প্রথম দিনে প্রকাশিত হবে ই-ম্যাগাজিন – e-জিরো পয়েন্ট। বাংলার নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই, সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
– আনোয়ার আলি,
সম্পাদক ও প্রকাশ জিরো পয়েন্ট।

 

Related posts

স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির

E Zero Point

নারী দিবসে মেন লাইনে ট্রেন চালাবে মহিলারা

E Zero Point

করোনায় কেন্দ্রের প‍্যাকেজ ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার

E Zero Point

2 মন্তব্য

রজত ঘোষ April 14, 2020 at 7:52 pm

বাঙালির পয়লা বৈশাখের মেজাজ আজ একলা বৈশাখের পণে পরিপূর্ন। সৌজন্যে করোনার দাপাদাপি। স্যানিটাইজার হাতে লক্ষ্মী বার্তা-“ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন” – উনিশের করোনাকে চমকিত করেছে নিশ্চয়। শিল্পীর নিপুন শৈলী অতীব কুশলে করোনা সচেতনতার বার্তা প্রকাশের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষের সূচনার সাংকেতিক ও বাঙালির সনাতন ভাবনার রূপদান করেছেন। সম্পাদকীয় তে করোনামুক্ত ভোরের খোঁজে জনসচেতনতার বার্তা স্পন্দিত। স্থিতিশীল উন্নয়নের পাশে বিকশিত হোক মানবিক গুন যা আজকের বর্তমান সময়ে একান্ত কাম্য।

অজয় কুমার দের ” বাংলা নতুন বছরের সেকাল একাল” বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ মানে হৃদয় বিদারক চৈত্র পেরিয়ে নতুন জীবনের শুরু। নতুন ভাবে ভাবা শুরু। আজও বাংলার গ্রামাঞ্চল, মফস্বলে নববর্ষ পালিত হয়।

ম্যাগাজিনের তৃতীয় পৃষ্ঠায় দুটি কবিতা স্থান পেয়েছে। শংকর হালদারের “মনে রেখো” কবিতায় কবি নিঃস্ব হৃদয়ের কোনো হিসেব না চেয়ে শুধু মনে রাখার আকুতি করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালো থাকার কামনা করেছেন। অজস্রতার ভিড়ে একাকী একটা হাত খুঁজেছেন। রজত ঘোষের ” হে একাকীত্ব” কবিতায় বন্ধু একাকীত্ব এর হাত ধরে নির্জন দুপুরে কাঙালের কেমন অনুভূতি কলম কালি নিয়ে খেলতে পারে তার কথা বলা হয়েছে।

কবিরুল লিখিত গল্প ” এক টুকরো ভারতবর্ষ” নেমে এসেছে ঘোষালবাড়িতে। ” বিবিধের মাঝে মিলন মহান” ভারতের এই ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ঘোষালকর্তা তাই চড়কের মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন। পঞ্চম পৃষ্ঠায় ছোট্ট সোনামনির ” ইচ্ছে খুশি” গুলি সুন্দর রূপ দিয়েছেন কবি শম্পা গাঙ্গুলি ঘোষ। মুস্তারি বেগমের লেখনী সত্যিই অনবদ্য যা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে খুবই ভাবায়।
করোনার গ্রাসে যখন ঢুকছে পৃথিবী, তখন সেই পৃথিবীকে বহু অনুরোধ “ওর করোনা ছিল না” ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হয়েছে। একরাশ স্তব্ধ আকাশ শুনলো “কুয়া কুয়া কুয়া” আর এই পৃথিবী হারালো এক মা কে। নির্মম বাস্তবধর্মী এই কবিতা।

অগ্নিমিত্র ওরফে ড. সায়ন ভট্টাচার্য্য রচিত” মামা ও করোনা” তে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানসিক দূরত্ব কমানোর কথা বলেছেন। কবি রতন নস্কর তার কবিতা “প্রত্যাশা” করোনা মুক্ত পৃথিবীর আশা করছেন। সৈয়দ সেরিনার কবিতা “অন্যরকম বৈশাখ” পয়লা পরিবর্তে একলা বৈশাখ এর গান গেয়েছেন।অসীমা সরকার এর “সার্থক মা” একটি সার্থক ছোটগল্প যার মধ্যে শেষ হয়েও হইলো না শেষের সুর বর্তমান।

শিবব্রত গুহ র “ঘুরে এলাম বাংলাদেশ থেকে” ভ্রমণকাহিনী মূলক লেখায় একখন্ড বাংলাদেশ উঠে এসেছে। লেখার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পাঠকের বিমূর্ত মনন ছবিগুলিকে মূর্ত রূপ দিয়েছে বলে মনে হয়।

ব্রততী ঘোষ আলীর কণ্ঠে আরণ্যক বসুর কবিতা “বিজ্ঞান কখনো ঘুমোয় না” অসাধারণ। কবিতাটি অতীত-বর্তমান, সংস্কার- কুসংস্কার, ধর্ম-বিজ্ঞান, কল্পনা-বাস্তবতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অতীতের কাল্পনিক জগৎ থেকে বাস্তবের মাটির ক্ষুদ্র শূন্যস্থানগুলিকে দেখিয়ে আগামী দিনে বিজ্ঞানের জয়গান গেয়েছেন। সত্যিই বিজ্ঞান কখনো ঘুমোয় না।

“বৈশাখী-১৪২৭” ই ম্যাগাজিন সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রই স্থান পেয়েছে।
কবিতা, কবিতা আবৃত্তি, গল্প, অনুগল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী মেলবন্ধন এই ম্যাগাজিন। এগিয়ে চলুক এই ম্যাগাজিন ও জিরো পয়েন্ট নববর্ষে এই কামনা করি।

উত্তর
উত্তমকুমারখাঁ April 15, 2020 at 7:55 am

মাসিক ই-পত্রিকার প্রকাশনার সিদ্ধান্তটি সময়োপযোগী ও অভিনব। বৈশাখী সংখ্যাটি শেয়ার ক’রলাম। প্রিয় সম্পাদক মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ।

উত্তর

মতামত দিন