17/04/2024 : 6:43 AM
অন্যান্য

e-জিরো পয়েন্ট – বৈশাখী ১৪২৭

|| *** কবিতা গুচ্ছ *** ||


মনে রেখো 

শংকর হালদার


জানিনা, তোমরা আমাকে মেনে নেবে কি ?
যদিও এখানে অভাবের কোনো ছায়া নেই
তবুও তৃপ্তি আর ভালোবাসা’ রেখে গেলাম
যতটুকু পেরেছি…
রক্তের দাম, ঝড়া ঘামের মূল্য’র হিসেব নেই
দিতে হবে না,
মনে রেখো…
হৃদয়ের সবটুকু প্রীতি বিলিয়ে দিলাম।
নিঃস্ব হৃদয়ে কাঁদে আমার প্রেয়সী
নিজেকে আড়াল রেখে ।
ভালো থাকার কামনা’ করি
যতদিন নিশ্বাসে বেঁচে আছি…
বিশ্বাসে পথ চলি সংকটে কিংবা পথের বাঁকে
অজস্র রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কে দেয় কারে
শুধু কুড়িয়ে দু’হাত ভরে রাখা ,
তুলে দেওয়ার নেই তো কেউ
এই ভিড়ে…
মনে রেখো ..

হে একাকীত্ব

রজত ঘোষ


মানুষের মিষ্টি হাসি যখন বিদ্রুপের বানে বক্র,
অন্তহীন জীবনে আমার পথচলার সাথী একাকীত্ব।
নির্জন গ্রীষ্মের দুপুরে জেগে থাকা বিছানায় এক
কাতরানো কাঙালের কত কালের অনন্ত সঙ্গী তুমি।
হে একাকীত্ব! তুমি এক শান্ত চন্ডী, অসীম, চিরন্তন,
তোমার মায়ার বন্ধনে আটকে পড়লে মুক্তি কোথায়?
তোমার অব্যক্ত নীরব কথা, না শোনা ভাষা কি পদ্যময়,
গদ্যময় জীবনে তোমার সুর স্পন্দিত আমার হৃৎপিণ্ডে।
বেতাল নাচের বিশ্ব আসরে তোমার নূপুরের ধ্বনি
তাল এনেছে উগ্র তবলার তানের তীক্ষ ধ্বনিতে।
কি অমায়িক বন্ধু তুমি! তুমিই আমার বিমূর্ত সাথী।
আমার মূর্ত ভালোবাসা যখন বড়শি গেলা মাছ,
হারিয়ে গিয়েছিল আমার অন্তরের জলাশয় হতে,
সেই ক্ষণে আমার খালি হাত পেয়েছিল তোমার আশ্রয়।
হে একাকীত্ব! তুমিই সেই ঝর্নার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দেবী,
যার ইশারায় সাদা পাতায় হোলি খেলে অনুভূতি কলমের কালি।

Related posts

ঝড়ে ক্ষেতমজুরের বাড়ীর ছাউনি উড়ে গেল

E Zero Point

নারী দিবসে দেশের সব মিনার–স্মৃতিশৌধতে বিনামূল্যে প্রবেশ মহিলাদের

E Zero Point

পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের নির্দেশ ছাড়া কোন খাদান থেকে বালি তোলা যাবে না

E Zero Point

2 মন্তব্য

রজত ঘোষ April 14, 2020 at 7:52 pm

বাঙালির পয়লা বৈশাখের মেজাজ আজ একলা বৈশাখের পণে পরিপূর্ন। সৌজন্যে করোনার দাপাদাপি। স্যানিটাইজার হাতে লক্ষ্মী বার্তা-“ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন” – উনিশের করোনাকে চমকিত করেছে নিশ্চয়। শিল্পীর নিপুন শৈলী অতীব কুশলে করোনা সচেতনতার বার্তা প্রকাশের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষের সূচনার সাংকেতিক ও বাঙালির সনাতন ভাবনার রূপদান করেছেন। সম্পাদকীয় তে করোনামুক্ত ভোরের খোঁজে জনসচেতনতার বার্তা স্পন্দিত। স্থিতিশীল উন্নয়নের পাশে বিকশিত হোক মানবিক গুন যা আজকের বর্তমান সময়ে একান্ত কাম্য।

অজয় কুমার দের ” বাংলা নতুন বছরের সেকাল একাল” বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ মানে হৃদয় বিদারক চৈত্র পেরিয়ে নতুন জীবনের শুরু। নতুন ভাবে ভাবা শুরু। আজও বাংলার গ্রামাঞ্চল, মফস্বলে নববর্ষ পালিত হয়।

ম্যাগাজিনের তৃতীয় পৃষ্ঠায় দুটি কবিতা স্থান পেয়েছে। শংকর হালদারের “মনে রেখো” কবিতায় কবি নিঃস্ব হৃদয়ের কোনো হিসেব না চেয়ে শুধু মনে রাখার আকুতি করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালো থাকার কামনা করেছেন। অজস্রতার ভিড়ে একাকী একটা হাত খুঁজেছেন। রজত ঘোষের ” হে একাকীত্ব” কবিতায় বন্ধু একাকীত্ব এর হাত ধরে নির্জন দুপুরে কাঙালের কেমন অনুভূতি কলম কালি নিয়ে খেলতে পারে তার কথা বলা হয়েছে।

কবিরুল লিখিত গল্প ” এক টুকরো ভারতবর্ষ” নেমে এসেছে ঘোষালবাড়িতে। ” বিবিধের মাঝে মিলন মহান” ভারতের এই ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ঘোষালকর্তা তাই চড়কের মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন। পঞ্চম পৃষ্ঠায় ছোট্ট সোনামনির ” ইচ্ছে খুশি” গুলি সুন্দর রূপ দিয়েছেন কবি শম্পা গাঙ্গুলি ঘোষ। মুস্তারি বেগমের লেখনী সত্যিই অনবদ্য যা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে খুবই ভাবায়।
করোনার গ্রাসে যখন ঢুকছে পৃথিবী, তখন সেই পৃথিবীকে বহু অনুরোধ “ওর করোনা ছিল না” ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হয়েছে। একরাশ স্তব্ধ আকাশ শুনলো “কুয়া কুয়া কুয়া” আর এই পৃথিবী হারালো এক মা কে। নির্মম বাস্তবধর্মী এই কবিতা।

অগ্নিমিত্র ওরফে ড. সায়ন ভট্টাচার্য্য রচিত” মামা ও করোনা” তে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানসিক দূরত্ব কমানোর কথা বলেছেন। কবি রতন নস্কর তার কবিতা “প্রত্যাশা” করোনা মুক্ত পৃথিবীর আশা করছেন। সৈয়দ সেরিনার কবিতা “অন্যরকম বৈশাখ” পয়লা পরিবর্তে একলা বৈশাখ এর গান গেয়েছেন।অসীমা সরকার এর “সার্থক মা” একটি সার্থক ছোটগল্প যার মধ্যে শেষ হয়েও হইলো না শেষের সুর বর্তমান।

শিবব্রত গুহ র “ঘুরে এলাম বাংলাদেশ থেকে” ভ্রমণকাহিনী মূলক লেখায় একখন্ড বাংলাদেশ উঠে এসেছে। লেখার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পাঠকের বিমূর্ত মনন ছবিগুলিকে মূর্ত রূপ দিয়েছে বলে মনে হয়।

ব্রততী ঘোষ আলীর কণ্ঠে আরণ্যক বসুর কবিতা “বিজ্ঞান কখনো ঘুমোয় না” অসাধারণ। কবিতাটি অতীত-বর্তমান, সংস্কার- কুসংস্কার, ধর্ম-বিজ্ঞান, কল্পনা-বাস্তবতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অতীতের কাল্পনিক জগৎ থেকে বাস্তবের মাটির ক্ষুদ্র শূন্যস্থানগুলিকে দেখিয়ে আগামী দিনে বিজ্ঞানের জয়গান গেয়েছেন। সত্যিই বিজ্ঞান কখনো ঘুমোয় না।

“বৈশাখী-১৪২৭” ই ম্যাগাজিন সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রই স্থান পেয়েছে।
কবিতা, কবিতা আবৃত্তি, গল্প, অনুগল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী মেলবন্ধন এই ম্যাগাজিন। এগিয়ে চলুক এই ম্যাগাজিন ও জিরো পয়েন্ট নববর্ষে এই কামনা করি।

উত্তর
উত্তমকুমারখাঁ April 15, 2020 at 7:55 am

মাসিক ই-পত্রিকার প্রকাশনার সিদ্ধান্তটি সময়োপযোগী ও অভিনব। বৈশাখী সংখ্যাটি শেয়ার ক’রলাম। প্রিয় সম্পাদক মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ।

উত্তর

মতামত দিন