বিশেষ প্রতিবেদনঃ আরবি ১২ মাসের মধ্যে ‘রমজান’ হলো অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। নিশ্চয়ই, এ মাসের প্রতিটি মিনিট কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে দিকে লক্ষ রাখাই একজন বুদ্ধিমান মুমিনের কাজ। সেজন্য রোজার শুরু থেকেই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা করতে পারি। যা আমাদেরকে মাহে রমজানের সময়কে যথাযথ উপায়ে ব্যয় করতে সাহার্য করবে। মুমিনদের সুবিধার্থে ১০টি কর্মপরিকল্পনা পেশ করা হলো।
এক. সর্বপ্রথম আমরা আমাদের নিয়তকে সহিহ করে নিই। রমজানের প্রতেকটি আমল একমাত্র আল্লাহর রাজি-খুশির জন্য করব। রোজা, ইফতার, সেহেরি, দান-সদকা, জাকাতসহ যেকোনো আমল করব, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করব।
দুই: আমরা তওবা ও ইসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহপাকের কাছে আমাদের পূর্বের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইব। তাওবায়ে নাসুহা অর্থাৎ একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আমরা রমজানকে স্বাগত জানাবো।
তিন: আমি যদি কারো হক নষ্ট করে থাকি; তাহলে হককে আদায় করে দেব। যেকোনো ধরনের কটু কথা বা গাল-মন্দ থেকে জিহ্বাকে হেফাজত করব।
চার: বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করব। যারা কুরআন তেলাওয়াত পারি না তারা পরিকল্পনা নিই যে, রমজানের ভেতরে কুরআন তেলাওয়াত শিখে ফেলব। যারা তেলাওয়াত পারি তারা নিয়ত করি কুরআন অর্থসহ শিখব।
পাঁচ: সারাদিনের ভেতর একটি সময় আমরা নির্দিষ্ট করে নেব, যেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নামাজ, রোজা ইত্যাদি সম্পর্কিত দীনি মাসায়েল শিখতে পারি।
ছয়: বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে একটি নফলের বিনিময়ে একটি ফরজের সমতুল্য সাওয়াব দান করেন। এবং একটি ফরজের বিনিময়ে ৭০টি ফরজের সাওয়াব দান করেন। বিশেষ করে সেহেরির কিছুক্ষণ আগে উঠে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ার চেষ্টা করব। ফরজ নামাজের পর অধিক মর্যাদাপূর্ণ নামাজ হলো তাহাজ্জুতের নামাজ।
সাত: বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়, নিজ নিজ ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জামাত করব।
আট: সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করে নেব, আর সময় থাকতেই সেহেরি খাওয়া শেষ করে নেব। যথাসম্ভব সেহেরি খেয়ে রোজা রাখব, কারণ সেহেরি খাওয়া সুন্নাত।
নয়: ফজর নামাজ পড়ে ঘুমাব। অনেক সময় সেহেরি খেয়ে শুয়ে পড়ার কারণে ফজরের নামাজ মিস হয়ে যায়।
দশ: সামর্থ্যানুসারে বেশি বেশি দান করার চেষ্টা করব। ধনী ব্যক্তিরা রোজার শুরুতেই জাকাত হিসাব করে দান করতে পারেন। এতে করে জাকাত আদায়ের সওয়াবও পাব এবং রমজানের ফজিলতও পাব।
এছাড়া আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি দোয়া করব আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে করোনা নামক মহামারি থেকে মুক্তি দেন এবং আল্লাহ যেন আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাহে রমজানের মর্যাদা বুঝে যথাযথভাবে আমল করে তাকওয়া অর্জন করার তাওফিক দান করেন! আমিন।