বিশেষ প্রতিবেদনঃ বিশাখাপত্তনমে এলজি-র কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের। হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হাজার খানেক মানুষ। কারখানার সংলগ্ন এলাকা খালি করে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনে দুটি ৫ টনের গ্যাসের ট্যাঙ্কারের রক্ষনাবেক্ষন না হওয়ার কারণেই গ্যাস লিক করতে শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বািহনী। পুরো ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির কথা। ভাইজ্যাকের কারখানা থেকে নির্গত গ্যাস আসলে কী। এর নাম স্টাইরিন গ্যাস।
ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হলেও অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। কয়েক’শ গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কারও মাথা যন্ত্রণা আর বমি।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। অসুস্থদের ১০ লক্ষ টাকা ও যাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, গ্যাস লিক হওয়া এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ওই প্লান্টের নিকটবর্তী বাসিন্দারা জানিয়েছে, তাঁদের চোখ জ্বালা করছে ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। এরপরেই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।