বিশেষ প্রতিবেদনঃ ছত্তিসগড়ের রায়গড়ের এক কাগজ তৈরির কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে এই ৭ জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাদেরকে ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে গ্যাসলিকের ঘটনা পুলিশ জানত বলে দাবি করেন রায়গড়ের এসপি সন্তোষ সিং। তিনি জানান, হাসপাতালের তরফে তারা খবর পান। এরপরই গুরুতর অসুস্থ তিনজনকে রায়পুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে গতরাতেই এই গ্যাস লিক শুরু হয়। তবে কেউ তখন তা খেয়াল করেনি।
এর আগে এদিন সকালেই বিশাখাপত্তনমের এক কেমিকেল প্ল্যান্টে গ্যাস লিকের ঘটনায় এক শিশুসহ ন’জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। যারপর কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বেলা ১১ টার সময়ে জরুরিকালীন বৈঠক ডাকেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রায়গড়ের এই ঘটনা।
বহুজাতিক সংস্থার রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে এদিন সকালে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দমকল, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশকর্মীরা প্ল্যান্টের কাছে পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিশাখাপত্তনমের আরআর ভেঙ্কটপুরম গ্রামে গ্যাস লিক হয়। গ্রেটার বিশাখাপত্তনম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে গোপালপত্তনমের এলজি পলিমারস থেকে এই গ্যাস লিক করেছে। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, চোখে জ্বালার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অনেককে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখা যায়।