বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতাঃ আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন—
- নার্সরা খুব ভাল কাজ করছেন, শুভেচ্ছা জানাই
- ২ মাস ধরে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ, কেন্দ্রের কাছে খালি থালা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে
- এখনও ৫২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এখনও বকেয়া, এই পরিস্থিতিতে দেনা শোধ করতে হচ্ছে, রেশন-সহ নানা খাতে বিপুল খরচ হচ্ছে
- মানুষের রুজি-রোজগার প্রায় শেষের পথে, কেন্দ্র বলেছে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, এখনই করোনা যাবে বলে মনে হয় না
- পরিকল্পনা ছাড়া লকডাউন করায় যাবতীয় সমস্যা, আপাতত ৩ মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার
- রেড জোনকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, রেড জোন এ-তে কিছুই হবে না, রেড জোন বি- সামাজিক দূরত্ব মানলে ছাড়, পুলিশ ঠিক করবে কোথায় কী ছাড় দেওয়া হবে
- সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জুয়েলারি, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্সের দোকান খুলুক, মোবাইল সার্ভিস, রেস্তোরাঁ বাদে খাবারের দোকান খুলুক
- রফতানি ও আমদানি চালু করা হচ্ছে
- গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে বাস ও ট্যাক্সি চলবে
- ১৭ মার্চ প্রথম বাইরে থেকে করোনা আসে বাংলায়, চিকিৎসা হলে অনেকেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে, করোনা নিয়ে ভয় পাবেন না
- বাংলায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ ঢুকে গেছে, বাইরে থেকে এলে ডিএম-এসপিকে জানান
- লকডাউন কড়া ভাবেই চলবে
- ১০০ দিনের কাজে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিক বাড়াতে হবে, ১০০ দিনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগাব, দুর্দিনে কেউ তাড়িয়ে দিলে সম্পর্ক রাখবেন না
- ১১ লক্ষ কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে, রেশন কার্ড না থাকলে কুপন দেওয়া হবে
- তাঁত হাট, খাদি বাজার, বিশ্ব বাংলা হাট খোলা হল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে মাস্ক, গ্লাভস তৈরি করাতে হবে
- কোন জোনে কোন দোকান খুলবে, পুলিশ ঠিক করবে, সচেতনতার বিষয়গুলি ক্লাবগুলো দেখুক, বিধিভঙ্গ হলে কেউ হাতে আইন তুলে নেবেন না
- বাংলায় বিজেপি হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে ,এটা রাজনীতি করার সময় নয়, বাংলার মানুষেরও সহ্যের একটা সীমা আছে
- করোনা-তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ১০ নম্বরে, রাজ্যে ২৫% করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন, ১০ বছরে বাংলায় যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো হয়েছে, দেশের কোথাও এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হয়নি
- করোনার কারণে অন্য রোগের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের গর্ব, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই হবে, নতুন স্বাস্থ্যসচিবকে বিষয়টি দেখতে হবে
- প্ররোচনা দিয়ে বিভেদ ছড়ানো হচ্ছে, এটা বিভেদ সৃষ্টি করার সময় নয়, এত তাড়াতাড়ি ধৈর্য হারালে হবে!, নির্বাচন তো আগামী বছরের মে মাসে!
- বাংলার বদনাম হলে আপনাদের গায়ে লাগে না?, আমরা তো কোনও রাজ্যের বদনাম করছি না, মানুষকে পণ্য হিসেবে দেখবেন না, বাংলা সব ধর্মকে একসঙ্গে নিয়ে চলে, আমিও একসময় বিরোধী ছিলাম, কোথাও হিংসা হলে পুলিশকে জানিয়েছিলাম, ‘অভিযোগ থাকলে গণতন্ত্রে জানানোর ব্যবস্থা আছে, হিংসা হলে পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিন, মহামারী আইনে মামলা রুজু হবে