পরাগজ্যোতি ঘোষ ও এম.কে. হিমুঃ এবার ধীরে ধীরে করোনা ভিনরাজ্য থেকে রাজ্যে প্রবেশ করছে। কয়েকদিন ধরেই উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, চেন্নাই, কেরলা, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্য থেকে বাস বোঝাই ও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে ভিনরাজ্যে কাজ করা মানুষেরা ফিরছেন- এ ছবি পথচলতি সকলেই দেখছেন। কিন্তু তার মধ্যে যে অদৃশ্য করোনা লুকিয়ে আছে সেটা কেউ জানতে পারছেন না।
আজ পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভিনরাজ্য ফেরৎ দু জন করোনা আক্রান্ত হলেন। একজন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ও অন্যজন মঙ্গলকোটের বাসিন্দা। জেলা প্রশাসন সূত্র অনুসারে, ভিন রাজ্য থেকে আসার পর কোয়ারান্টিনে সেন্টারে রাখা হয়েছিল তাদের, সেখান থেকেই তাদের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ভাতারের বড় পোষলা গ্রামের বাসিন্দা দিল্লী থেকে বিশেষ ট্রেনে বর্ধমান ফিরেছিলেন এবং মঙ্গলকোটের নতুনহাটের বাসিন্দা বাস ভাড়া করে ফিরেছিলেন চেন্নাই থেকে। এখন তাদের দুজনকেই দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
মঙ্গলকোটের ব্লকের এপিও সুশান্ত প্রামানিক জানান যে, গোটা ঘটনায় নতুনহাটের ঐ এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা সকলকেই কোয়ারিন্টনে পাঠানো হয়েছে, বাকীদের খোঁজ চলছে।
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাসিন্দা ও শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে যখন রাজনীতি চরমে। ঠিক সেই সময় এক এক করে পূর্ব বর্ধমান জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রশাসনের কপালে ভাঁজ পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার মানুষেরা। এর আগে মুম্বাই থেকে ফেরার পথে করোনায় আক্রান্ত হন আউশগ্রামের দুজন ও পূর্বস্থলীতে এক জন।
আরও বিস্তারিত আপডেট আসছে..