বিশেষ প্রতিবেদন, বড়পলাশনঃ গত ১৮ মে মেমারি থানার বড়পলাশন গ্রামের তরতাজা ত্রিশ বছরের যুবক সৈয়দ ইমরানউল হক চলে গেলো পৃথিবী ছেড়ে।বড়পলাশন উচ্চবালক বিভাগের উজ্জ্বল তারকা মধ্যমগ্রাম প্রেমময়ী বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করে কলকাতা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংপাশ করলেও চাকরী করেননি। ছাত্রদরদী মানুষটি ছিলো অনন্য প্রতিভার অধিকারী। এর পর বি এড করেন কালনা কলেজ থেকে। চাকরির কোন চেষ্টা না করে খেয়ালী ইমরান বন্ধু , ছাত্র নিয়ে জীবন কাটাতে ভালোবাসতেন। এমন কোন বিষয় নেই যাতে তার জ্ঞান ছিলো না।কম্পিউটার, মোবাইল সহ সমস্ত ইলেকট্রনিক বিষয়ে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সকলের প্রিয় ইমুদা অবশেষে পরিবারের অনুরোধে তমলুকে ফিজিক্স এর শিক্ষকতা শুরুকরেন আল আমিন মিশনে। মিশনেও তার অবদান ছিলো ধ্রুবতারার মতো। ছাত্র অন্তপ্রাণ ইমরান সকল সহকর্মীদের ও নয়নের মণি ছিলেন। তার পড়ানোর কৌশল ছাত্রদের মুগ্ধ করতো। লকডাউন ও করোনা তার জীবনে অভিশাপ নিয়ে আসে। প্রাণবন্ত ইমুস্যার বাড়ি এসে সবসময় করোনার ভয়ে কুকড়ে থাকতো। আস্তে আস্তে বাঁচার ইচ্ছে শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।
অবশেষে গত সোমবার নিজের পড়ার ঘরে আত্মহত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে। অবিবাহিত ইমুদা সকলকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়ে আজ বড়পলাশনের বুকে মাটির নিচে স্থান নিলেন। উঠতি ছেলেমেয়েদের মুসকিল আসান ইমরান স্যারের পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া মেনে নিতে পাড়ছেন না গ্রামবাসী। জানাজায় বিশাল ঢল চোখের জলে বিদায় দিলো ভালো ছেলে ইমরান কে।মৃত্যুর সময় রেখে যাওয়া বৃদ্ধ বাবামা ও পরিজন তার শোকে মুহ্যমান। বলতেন চাকরি জীবনের শেষ কথা নয় আসল বিষয় হলো কতটা বুঝলাম। মানুষ পৃথিবী ও সমাজ কে।