এক সময় আমরা রমজানের অপেক্ষা করেছি, এখন আমরা রমজানকে বিদায় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এভাবেই আমাদের জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবে। মানুষ বলতেই কয়েকটি দিনের সমষ্টি। একটি দিন অতিবাহিত হয় তার জীবনের একটি অংশ ঘষে পড়ে। এ রমজানও চলে যাবে, যেমন আসতে ছিল। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি রাত-দিন, মাস-বছর অতিবাহিত করেন। এতে রয়েছে মুত্তাকিদের নসিহত, উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য উপদেশ।
এ রমজানও অন্যান্য বছরের ন্যায় চলে যাবে। সে তার আমল নামা বন্ধ করে ফেলবে, যা কিয়ামতের দিন ছাড়া খোলা হবে না। আমাগী রমজান পাব কিনা আমরাও তা জানি না। আল্লাহ সাহায্যকারী।
রমজানের জন্য কাঁদা উচিত। একজন মুমিন রমজানের জন্য কিভাবে না কাঁদবে, অথচ এ রমজানে জান্নাতের দরজাসমূহ উম্মুক্ত করা হয়। একজন গোনাগার কি জন্য রমজানের জন্য আফসোস না করবে, অথচ রমজানে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। কেন শয়তান রমজানের কারণে জ্বলেপুড়ে না মরবে, অথচ তাতে সে আবদ্ধ থাকে। হে আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা এতে কাদোঁ। হে মুত্তাকিগণ, তোমরা এতে উপার্জন কর।
আমরা কিভাবে রমজানকে বিদায় জানাবো?
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. তার গভর্নদের লিখে পাঠান যে, তোমরা রমজান মাস ইস্তেগফার ও সদকার মাধ্যমে খতম কর। কারণ, সদকা রোজাদারের জন্য পবিত্রতা স্বরূপ আর ইস্তেগফার রোজার জন্য পবিত্রতা স্বরূপ। আর এ জন্য কেউ বলেছেন, ‘সদকাতুল ফিতর হচ্ছে সেজদায়ে সাহুর ন্যায়।‘ আব্দুল আজিজ তার পত্রে বলেন, ‘তোমরা আবু বকরের ন্যায় বল: তারা বলল, হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলক করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। [আরাফ :২৩]
- আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। [হুদ : ৪৭]
- আর যিনি আশা করি, বিচার বিদসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন। [শুআরা : ৮২]
- হে আল্লাহ, আমি আমার ওপর যুলক করেছি, তুমি আমাকে ক্ষমা কর।‘ [কাসাস : ১৬]
- আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম। [আম্বিয়া : ৮৭, লাতায়েফ : ৩৮৭]