সংবাদসংস্থা, নিউদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ, মহাসড়ক এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী নীতিন গড়করি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারধাম পরিযোজনার আওতায় চাম্বা সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করেছেন। ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অধীনস্থ ঋষিকেশ ও ধারাসু-র মধ্যে থাকা ব্যস্ত চাম্বা শহরের তলায় ৪৪০ মিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজটি করছে সীমান্ত সড়ক সংগঠন (বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন – বিআরও)। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যে এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ ছিল খুবই চ্যালেঞ্জের। নরম ভূ-স্তর, জল চুঁইয়ে পড়া, বাড়িগুলির বসে যাওয়ার আশঙ্কা, জমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং কোভিড-১৯-এর লকডাউনের ফলে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করা হয়েছে।
নীতিন গড়করি জানান, ঋষিকেশ-ধারাসু-গঙ্গোত্রী সড়কটি উত্তরাখণ্ডের আর্থ-সামাজিক এবং ধর্মীয় পটভূমিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধনের ফলে চাম্বা শহরের যানজট কমবে। এছাড়া, ১ কিলোমিটার রাস্তা কম যেতে হবে, যার ফলে আগে যে দূরত্ব পৌঁছতে ৩০ মিনিট সময় লাগত, এখন তা ১০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তিনি বিআরও-র ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং জানান, নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই এই সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয়েছে।
বিআরও-র মহানির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং বলেন, এই সুড়ঙ্গের উত্তর প্রান্তের কাজ ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার আশঙ্কা ও ক্ষতিপূরণের দাবির জন্য বাধাদানের ফলে দক্ষিণাংশের কাজ ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে শুরু হয়। সময় বাঁচাতে দিন এবং রাত উভয় সময়েই নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। চারধাম প্রকল্পে বিআরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এই সংস্থার ‘টিম শিবালিক’ এই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজটিতে অস্ট্রিয়ার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে।
১২ হাজার কোটি টাকার চারধাম প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ৮৮৯ কিলোমিটার। জাতীয় মহাসড়কের মোট ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা বিআরও তৈরি করছে যার ফলে, তীর্থযাত্রীদের গঙ্গোত্রী এবং বন্দ্রীনাথে যেতে সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজই নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হচ্ছে। বিআরও অক্টোবরের মধ্যে তার অংশের কাজগুলি শেষ করে ফেলবে।
ঋষিকেশ-ধারাসু-র মধ্যে ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ, ধারাসু-গঙ্গোত্রীর মধ্যে ১০৮ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ এবং যোশীমঠ-মানা-র মধ্যে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কিছু কাজ বিআরও করছে।
এর মধ্যে ধারাসু থেকে গঙ্গোত্রীর অংশটি জুন মাসে, ঋষিকেশ থেকে ধারাসু-র মধ্যে অংশটি জুলাই মাসে এবং চিনিয়ালিসয়ার বাইপাস অক্টোবর মাসে শেষ হওয়ার কথা।
চাম্বা শহরের তলায় নবনির্মিত এই সুড়ঙ্গটি ঘোড়ার খুড়ের আকৃতির। এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকা।