25/04/2024 : 8:15 PM
আমার বাংলাকালনাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

মরশুমি বর্ষা এসে যাওয়ায় কালনার তিল চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন

আলেক শেখ, কালনাঃ  খামখেয়ালীপনা  আবহাওয়ার জন্য  তিল কাটতে পারেনি কৃষকরা।  বৃষ্টির জলে তিলের জমি ডুবে গেলেও ভরসা ছিল আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে কিছু তিল পাওয়া যাবে।   এবছরে বিক্রি করা না গেলেও সারা বছর নিজের খাওয়ার জন্য  তিল হবেই। কিন্তু সব আশা -ভরসা শেষ হয়ে গেল বর্ষা এসে যাওয়ায়।      এই মরশুমে  একশো শতাংশই তিলের ক্ষতি হয়ে গেল।   তিলের জমিতে আর কাস্তে যাবে না।    চিরাচরিত  ফসলের চাষ কমিয়ে বিকল্প ফসল চাষের ধারণাটা তৈরি হয়েছিল বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে।   সেই ধারণার বশবর্তী হয়ে কালনা মহকুমার পাঁচটি ব্লকেই বিকল্প চাষ হিসাবে তিল চাষ শুরু হয় ব্যাপক ভাবে।     কালনা মহকুমা কৃষি দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মরশুমে  মহকুমার পাঁচ ব্লকে মোট ৩৫৪৫ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে।    ব্লক অনুযায়ী  কালনা-১, ৭০০ হেক্টর, কালনা-২,  ৬৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-১,  ৭৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-২, ১০২০ হেক্টর এবং মন্তেশ্বর ৪৫০ হেক্টর |  তিল গাছে ফুল আসা থেকেই  ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।     সেই ঝড় বৃষ্টি আজও থামেনি।      লাগাতার বৃষ্টিতে বেশির ভাগ তিলের  নিচু জমিগুলোতে জল জমে  তিলগাছ পচে গিয়েছিল।   জল না জমা জমির  তিল গাছ কিছুটা  বেঁচে থাকলেও বর্ষা এসে যাওয়ায় সেটাও শেষ।     কালনা মহকুমার সহ কৃষি  অধিকর্তা আশীষ কুমার বাড়ুই জানান–জমিতে জল জমা  মানে তিলের শত্রু।   তাই এ বছর  যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে তাতে জমিতে জল জমে তিলের ক্ষতি হবেই।     পাশাপাশি একটার পর একটা আরফান-কালবৈশাখীর মতো ঝড় ফসলের ক্ষতি করেছে।  এক কথায় এ মরশুমে  আবহাওয়া ছিল তিল চাষের  পক্ষে সম্পুর্ন প্রতিকূল।    তাই  তিলচাষে  এবছর  ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন  হলেন কৃষকরা   |

Related posts

পর পর কন্যা সন্তান হওয়ায় মেমারির গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ

E Zero Point

কর্মতীর্থ-এর দোকান ঘরের উদ্বোধন করল মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

E Zero Point

গোপাল জিউ আশ্রমের রথযাত্রার শুভ সূচনালগ্নে বস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ মেমারিতে

E Zero Point

মতামত দিন