24/04/2024 : 9:58 PM
স্বাস্থ্য

যে মাস্ক পরায় লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি !

দিগন্তিকা বোস, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান

ভাল্ব যুক্ত এন-৯৫ মাস্ক বিপজ্জনক, ইতিমধ্যেই সতর্কতা কেন্দ্রের !
কয়েক দিন ধরে সংবাদের শিরোনামে। অনেকই বিভ্রান্ত, কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক।
কেন বলছে ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্কও সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকরী। পুরনো কাপড় পরিষ্কার করে তৈরি করলেও চলবে অথচো ভাল্ব যুক্ত এন-৯৫ বিপজ্জনক ! এটা সংক্রমণের জন্য দায়ী।
প্রথমেই বলি এন-৯৫ মাস্ক কিন্তু বিপদজনক বলা হচ্ছে না । ভাল্ব যুক্ত এন-৯৫ মাস্ক বিপজ্জনক। কারণটা একটু দেখে নেওয়া যাক। কারণ করোনা ভাইরাসের ছড়ানো রুখতে ব্যবহৃত ভাল্ব যুক্ত এন-৯৫ মাস্ক ভাইরাসকে মাস্কের বাইরে যাওয়া থেকে আটকায় না। শুধু মাত্র বাইরে থেকে আস্তে পারে না। কারও যদি করোনা ভাইরাস থাকে, আর তিনি যদি এন-৯৫ মাস্ক পরেন, সে ক্ষেত্রে মাস্কের ভিতর থেকে ভাইরাস বাইরে বেরিয়ে যায়।
এন-৯৫ মাস্কে যে ভাল্ব ব্যবহৃত হয় তা আসলে একটি একমুখী ভাল্ব। অর্থাৎ এই ভাল্বের মধ্য দিয়ে বাতাস যে পথে যেতে পারে সেই পথে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। এই ভাল্ব ব্যবহার করার প্রধান কারণ যিনি মাস্ক ব্যবহার করছেন তাঁরা মাস্কের ভিতরে যেন নিশ্বাস বায়ু জমা না থেকে সরাসরি বাইরে বেরিয়ে আসে আর প্রশ্বাস নিলে যেন সেই পথে না প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ রেসপিরেটরি ভাল্ব যুক্ত এন ৯৫ মাস্ক ব্যবহার করলে বাইরের ভাইরাস মুখে কিংবা নাকের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। কিন্তু ওই মাস্ক পরে যখন নিঃশ্বাস ছাড়া হবে তখন শরীরে থাকা ভাইরাস ভাল্ব দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে, ফলে কারোর সঙ্গে কথা বললে বা আশেপাশে কেউ থাকলে তাঁদেরও সংক্রমিত হয়ে পড়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।


শুধু ভাল্ব যুক্ত এন-৯৫ নয় অনান্য মাস্কেও আছে বিপদ !
সচেতন থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা মোকাবিলায় মাস্কই অন্যতম হাতিয়ার। চিন্তার বিষয় সাধারণের ব্যবহৃত মাস্ক বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।
এগুলো নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক শপিং ব্যাগ তৈরির কাপড় দিয়ে বানানো হচ্ছে। নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক কাপড় হচ্ছে বর্তমান বাজারের সস্তা প্লাস্টিক। এ জাতীয় কাপড়কে বলা হয় পিপি-ফেব্রিক্স,
এই জাতীয় কাপড়ের (এটা আসলে কাপড় নয়) তৈরি মাস্কে সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে কাপড়টিতে প্রচুর পরিমাণ ফ্লটিং ফাইবার বা আলগা তন্তু (ফাইবার) থাকে। এই আলগা তন্তুগুলোকে বলা হয় মাইক্রো-প্লাস্টিক। এ ধরনের কাপড়ে তৈরি একটি মাস্ক খুব সামান্য সময় নাকেমুখে রাখা মানে অসংখ্য মাইক্রো-প্লাস্টিক ফুসফুসে প্রবেশ
করানো। অতিক্ষুদ্র এসব কণার কিছু ফুসফুসের অত্যন্ত গভীরের আটকে গেলে ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। সবচেয়ে ছোট কিছু উপাদান সরাসরি রক্তনালিতে চলে যেতে পারে, যা পরিণতিতে স্নায়ুরোগ, ও বিভন্ন রোগের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।মানবদেহে এমন ব্যবস্থা নেই, যার মাধ্যমে শরীর এসব উপাদান বের করে দিতে পারে অথবা নিঃশেষ করে দিতে পারে। তাই এই জাতীয় মাস্ক বর্জন করাই ভালো।
আর একটা বিষয় ব্যবহৃত মাস্ক যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার এক মারাত্মক সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে।
করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত হতে আমরা আরো স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে না হলে আরো বিপদজনক।

Related posts

প্রতিদিনের যে ৭ বদঅভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতি করে

E Zero Point

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ও আমরাঃ থুতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখে লাভ নেই

E Zero Point

করোনার তৃতীয় ঢেউঃ কোভিড সংক্রমণ এড়াতে হলে কি করতে হবে জেনে রাখুন

E Zero Point

মতামত দিন