জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, গোবরডাঙ্গা, ১৯ অগাষ্ট, ২০২০:
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ইতিমধ্যে প্রায় চার মাস সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়েছে।ধারাবাহিক লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন।এরইমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের পর স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট নিতে গোবরডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্কুলকে চড়া হারে ফিস দিতে হচ্ছে।এই ঘটনায় বেশ অসন্তুষ্ট গোবরডাঙ্গার অভিভাবক সমাজ এবং শিক্ষানুরাগীরা।এমনিতেই লকডাউনে যখন সাধারন মানুষ অসহায়, ঠিক সেইসময় দাঁড়িয়ে গোবরডাঙ্গা লাগোয়া দরিদ্র অধ্যূষিত মেদিয়া বাস্তুহারা হাইস্কুল কুড়ি টাকা,গোবরডাঙ্গার ঐতিহ্যশালী বিদ্যালয় গোবরডাঙ্গা খাঁটুরা হাই স্কুল ছাত্র পতি ৫০ টাকা করে ফিস নিচ্ছেন।আর এক্ষেত্রে সবাইকে ছাপিয়ে গেছে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে গোবরডাঙ্গার সেরকম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খাঁটুরা প্রীতিলতা বয়েজ হাই স্কুল।এই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট এর জন্য ১০০ টাকা করে আদায় করছেন।এই ঘটনায় শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে।দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট বের করা যায় সেহেতু এ বছর স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট এ কোন অর্থই নেয়া উচিত নয়।এর আগে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট ছাপাতে হত স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সে ক্ষেত্রে কিছু অর্থ নিলে সেটা কখনো বা যুক্তিযুক্ত হলেও হতে পারতো। কিন্তু এবছর থেকে অনলাইনে শুধুমাত্র প্রিন্ট আউটের জন্য এক টাকার মতো খরচ হয়, সেখানে ৫০ বা ১০০ টাকা নেওয়াটা অন্যায় বলে তিনি জানান।এই ঘটনায় ভীষণভাবে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা।গোবরডাঙ্গার তিনটি স্কুল যখন চড়া হারে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট এর জন্য ফিস নিচ্ছেন পাশাপাশি গোবরডাঙ্গার অন্য স্কুলগুলো খাঁটুরা গার্লস, গোবরডাঙ্গা গার্লস, মেদিয়া গার্লস,নেতাজী বিদ্যাপীঠ,গোবরডাঙ্গা কলেজিয়েট হাই স্কুল এমনকি ইছাপুর হাই স্কুলের মত নামী স্কুলগুলো স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট এর জন্য একটি পয়সাও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।অভিযুক্ত স্কুলগুলি এই বাড়তি অর্থ নেবার ক্ষেত্রে কোন যুক্তি দাঁড় করাতে পারেনি।বিষয়টি দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের নজরে আনা হবে বলে অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন।