হতাশ কিংবা মানসিক অবসাদে ভোগা মায়ের সন্তানের হার্টবিট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে বলে নতুন একটি গবেষণায় জানিয়েছেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা বলছেন, শিশুর জন্মের প্রথম কয়েক মাসে এই প্রভাব বোঝা যায়। মা হতাশ থাকলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্যাবিও ব্লাঙ্কো-ডরমন্ড তার প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘এই প্রথম মায়েদের হতাশার প্রভাবে শিশুর এমন শারীরিক পরিবর্তন দেখা গেল। আমরা দেখেছি তিন মাসের সেইসব শিশুদের হার্টবিট অনেক বেশি, যাদের মায়েরা ডিপ্রেশনে আছেন।’
গবেষকেরা এটি বোঝার জন্য ৫০ জন মা এবং তাদের শিশুকে ট্রায়ালে নেন। এর মধ্যে ২০ জন মায়ের ডিপ্রেশন সমস্যা ছিল।
ট্রায়ালে মায়েদের নিজ-নিজ শিশুর সঙ্গে ২ মিনিট করে খেলতে বলা হয়। এরপর মায়েদের শুধু চোখের যোগাযোগ রেখে বাকি সব অঙ্গভঙ্গি বন্ধ করতে বলা হয়। দুই মিনিট পর আবার একইভাবে তাদের শিশুদের সঙ্গে মজা করতে বলা হয়। এরপর মা-শিশু দুজনেরই হার্টবিট মাপা হয়।
তখন দেখা যায়, যেসব মায়েরা উদ্বিগ্ন বা হতাশ তাদের সন্তানদের হার্টবিট বেশি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মায়েদের এমন মানসিক সমস্যায় শিশুদেরও সমস্যা হয়।
গবেষকেরা বলছেন, গর্ভে থাকা অবস্থায়ও মায়েরা বেশি হতাশ থাকলে শিশুর সমস্যা হয়। তখন ভ্রূণকে উন্মোচিত করে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ঘনত্ব বাড়ায়। এতে শিশুর ব্রেনের পরিবর্তন হয়। পাশাপাশি রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টির প্রবাহ কমিয়ে দেয়!