জিরো পয়েন্ট নিউজ – সুব্রত মজুমদার, কাটোয়া, ১ অক্টোবর, ২০২০:
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের নন্দীগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ক্লাসঘর নির্মাণ হয়েছিল মাস পাঁচেক আগে। এখনও ক্লাস বসেনি নবনির্মিত ওই ভবনে। কিন্তু এর মধ্যেই ক্লাসঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে বড় ফাটল ধরেছে। বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটির অবস্থা ভালো না থাকায় পঞ্চায়েত সমিতি নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই মত ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে আইএমডিপি প্রকল্পের অধীনে ২১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকায় নন্দীগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’টি নতুন অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর ভবনটি ব্যবহার করা হয়নি। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু গত জুন, জুলাই মাস থেকে ওই নতুন ভবনের চারিদিকে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। ভবনটির এমন দুরবস্থা দেখে মনে হবে না যে এটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ক্লাসঘর তৈরিতে কাটমানির খেলা হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এই ভবন তৈরি করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘‘নির্মাণ সামগ্রী কম দেওয়াই স্কুল ভবনের এমন হাল। আমরা ঘটনার তদন্ত চাইছি।’’ দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহীর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। নবনির্মিত ভবনের কেন এই অবস্থা হল সে বিষয়ে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহীও বলেন, ‘‘নবনির্মিত ভবনে ফাটল ধরার অভিযোগ পেয়েছি। একজন ইঞ্জিনিয়ারকে ওই স্কুলে পাঠিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে। নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের যদি কোনও গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে অবশ্যই কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’’