জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ভাতার, ২ জানুয়ারি ২০২১:
প্রশাসনের উচ্চ কর্তাদের অমানবিক মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলো সরকারি কর্মচারি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকে। ব্লকের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ ব্যনার্জী প্রশাসনের মানসিক অত্যাচার এবং কার্যত প্রচ্ছন্ন হুমকি সহ্য করতে না পেরে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল সেই পদতাগপত্র ভাতার বিডিও র কাছে লিখিত জমাও করেছেন।
অদ্ভুতভাবে এবং নির্লজ্যভাবে ভাতার বিডিও সেই পদত্যাগপত্র অদ্ভুত সব যুক্তি দিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক ( জেলা পরিষদ) কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এইরূপ অমানবিক এবং অমানসিক অত্যাচার এখন প্রায় সব ব্লকের কর্মচারীদের উপর প্রতিদিনই চলছে। রাত নেই, দিন নেই, ছুটির দিনও এখন কাজের চাপ লেগেই আছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন পরিবার উপেক্ষা করেও ব্লকের বি আইও, ডি ই ও রা প্রতিদিন কাজ করে গেছেন।
অথচ এখন সকলের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হলেও, ব্লকের বি আই ও, ডি ই ও দের কোনো হেলথ স্কীম নেই। তারাই ব্লকের একমাত্র কর্মচারী যাদের হেলথ স্কীম নেই। এখন সমস্ত কাজ, মিটিং সবই ভারচ্যুয়াল হয়, সেটাও এই কর্মীরাই সামাল দিচ্ছে ব্লকে ব্লকে। অথচ এদের উপরই নেমে আসছে নির্মম মানসিক অত্যাচার। যা আজ অনেকেই আর সহ্য করতে পারছেন না।
সরকারি এখন সব প্রকল্পই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তার যাবতীয় রিপোর্ট রিটার্ন সবই ব্লকের বি আই ও অথবা ডি ই ও রা করে থাকেন। আবাস যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, বিধবা-বার্ধক্য ভাতা, পথশ্রী থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজই এরা করে থাকে। সম্প্রতি সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা “দুয়ারে সরকার” সফল করার পিছনেও এই কর্মচারীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। এরমাঝে ইলেকশনের যাবতীয় কাজ তো আছেই। সামনেই আসছে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কাজেও এরা অমানবিক পরিশ্রম করে থাকেন।
তবুও আজ ব্লকের ডিইও বি আই ও রা প্রশাসনের অত্যাচারের শিকার। এই অত্যাচারের এবং ভাতার ব্লকের ডি ই ও এর পদত্যাগের বিরুদ্ধে সারা জেলার সমস্ত বি আই ও এবং ডি ই ও রা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে। প্রথম প্রতিবাদ হিসাবে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সমস্ত হোটাস্যাপ গ্রুপ থেকে তারা লেফট হয়ে বেড়িয়ে গেছেন।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।