জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, মেমারি, ১ নভেম্বর ২০২১:
রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ছে। ফিরে এসেছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, মাস্ক পড়ুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও করোনাবিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন প্রশাসনকে।
রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি বিধানসভা ও মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মেমারি কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহে করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হলো।
এই বিজয়া সম্মিলনীতে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়িকা শম্পা ধারা, সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, মেমারি পৌরসভা প্রশাসক স্বপন বিষয়ী, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল, প্রাক্তন শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, মেমারি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ-সভাপতি শেখ মোয়াজ্জেম সহ জেলা ও ব্লকের অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই অনুষ্ঠান থেকে মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি নিজস্ব অ্যাপ ও একটি হেল্প লাইন হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এর উদ্বোধন করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী।
কিন্তু অনুষ্ঠানে দেখা গেল, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার তো কোনও বালাই নেই। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মুখে মাস্ক। এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল যে পরিমাণ লোকধারণ ক্ষমতা কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহের তার থেকে বেশি লোক অনুষ্ঠানে হাজির হওয়াই অনেকেই প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করতে পারেনি। এবং যারা প্রবেশ করেছিল দেখা গেল তারা পাশাপাশি সিটে সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বসে রয়েছে। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে এসিও বন্ধ ছিল। একটা সময় অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল প্রেক্ষাগৃহের ভিতর।
এই ব্যাপারে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে এইরকম ছোট জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী করা আয়োজকদের ভুল হয়েছে উচিত ছিল কোন খোলা মাঠে করা।
যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বারবার রাজ্যের মানুষকে মাস্ক পড়ার ও করোণা বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছেন, পাশাপাশি প্রশাসনকেও নির্দেশ দিচ্ছেন যে করোনা বিধি লংঘন কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং মেমারি থানার প্রশাসন যথেষ্ট তৎপরতার সাথে করোনাবিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে, সেখানে করোনা বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিনের এই বিজয়া সম্মিলনী কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?
বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জী এই দুই করোনা জয়ীর উপস্থিতিতে কিভাবে করোণা বিধি লংঘন করে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হলো? এর ফলে করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাবে না তো? এমনই আশঙ্কা করছেন সকলে এবং অনুষ্ঠানের পর এই প্রশ্নগুলিই বারবার উঠে আসছে সকলের মনে।