জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, এম.কে হিমু, মেমারি, ৭ জানুয়ারি ২০২২:
যেখানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে সেই সময় শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনা বিধি নিয়ে যে, বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তা মেনে মেলার আয়োজন করতে হবে। মেলায় আগত সকলকে মানতে হবে করোনা বিধি। করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। এই তিন সদস্যের কমিটিতে থাকছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
করোনা আবহে এ বছরে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। হাইকোর্টের রায়ের পর তিনি বলেন, ‘শর্তগুলি পূরণ করে মেলার আয়োজন করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকবেই৷ মৃত্যু মিছিল আটকানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল৷
এদিকে হাওড়ার আউট্রাম ঘাটে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ভিড় জমতে শুরু করেছে । ভিনরাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। আর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির বিশিষ্ট শিক্ষক ও সমাজসেবী মানস রায় এব্যপারে জিরো পয়েন্ট এর প্রতিনিধিকে জানান, ভন্ডামির চরম সীমা অতিক্রম করছে সরকার। লক্ষাধিক লোক সমাগমে গঙ্গাসাগর মেলা হবে। পুর নিগম গুলিতে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে করোনা কিছু বিষয় নয়। কোভিড বিধি মেনে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো যাবেনা। সময় হয়েছে রাস্তায় নামার । এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠুন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যেখানে রাজ্যবাসীকে সচেতন করে বলছেন, আগামী ১৫ দিন গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে গঙ্গাসাগরের মতো একটি জায়গায়, যেখানে ৫ লক্ষেরও বেশি ভিড় হতে পারে, সেখানে ভয়াবহতা আরও বেশি হবে – একথা বুঝতে কোন বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন অপেক্ষা রাজ্য তথা দেশের বৃহত্তম কলকাতা বইমেলা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্য সরকার।