জিরো পয়েন্ট নিউজ, মেমারি, ২০ জানুয়ারি ২০২২:
হাটবাজার, গণপরিবহণ, সহ প্রায় কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি দূরে থাক, মানুষের মাস্ক পরতেও অনীহা। অনেকের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও তা রেখেছেন পকেটে বা মুখের নিচে থুতনিতে। অধিকাংশের কাছে মাস্কও নেই। এছাড়া হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহারের কড়াকড়ি থেকেও সরে এসেছেন সাধারণ মানুষ। একদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি। আর তার সঙ্গে সঙ্গে এই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরাচ্ছে মানুষকে। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতাও জনগণের মধ্যে প্রভাব ফেলেনি তা বোঝাই যাচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর অঞ্চলের বড়র গ্রামে পীরের মাজারের প্রতিবছরের মত এবছরও পীরের ঔরস উদযাপিত হচ্ছে। এবং প্রতিবছরের মতো এবছরও পীরের ঔরস উপলক্ষে বর্তমানে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি বিধি নিষেধ কে মান্যতা দিয়ে মেলার অনুমতি মিলেছে। তাই বসেছে মেলা।
কিন্তু মেলায় গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া, ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক, নেই কোন বিধি-নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব তো পরের কথা,ভিড়ে ঠাসা মেলায় দেখা গিয়েছে সারি সারি মাস্কবিহীন মুখ। তবে কাউকে কাউকে মাস্ক পরতেও দেখা গিয়েছে। এই চিত্র দেখে যে কারো মনে হতেই পারে যে করোনা চিরতরে বিদায় নিয়েছে।
বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন উপায়ে করোনা সচেতনতা প্রচার করছে, সেখানে এই মেলায় দেখা গেল না সরকারিভাবে কোন সচেতনতা মূলক প্রচার।স্থানীয় পঞ্চায়েত বা প্রশাসন থেকে নেই কোন আধিকারিক, গুটিকয়েক সিভিক পুলিশকর্মীকে শুধুমাত্র নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেল।কার্যত লুটোপুটি খেল করোনার বিধিনিষেধ। ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার থার্ড ওয়েভ। কিন্তু, কোথায় সচেতনতা? কোভিড সতর্কবিধি এভাবে উপেক্ষা করলে, তৃতীয় ঢেউ যে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।