জিরো পয়েন্ট নিউজ, ২২ ডিসেম্বর ২০২২:
দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানোন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশ এবং শিল্পোদ্যোগ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নতুন দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বিস্তারিত জানিয়েছেন। আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে শ্রী প্রধান জানান, শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের আদিবাসী সমাজকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান প্রদান করছেন, যা আসলে বহু আগেই পাবার কথা ছিল।
শ্রী প্রধান বলেন, ২০১৪ – ১৫ সালে আদিবাসী জনজাতিদের জন্য নির্ধারিত তহবিলের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের জন্য বর্তমান অর্থবর্ষে ৮ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানোন্নয়ন, তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতিতে স্থানীয় ভাষা ও মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর সুফল আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা পাবেন। দেশের বিভিন্ন একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়গুলিতে ১ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আদি আদর্শ গ্রাম যোজনার আওতায় ৩৬ হাজার ৪২৮টি গ্রামে নানা সংস্কারমূলক কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। বছরে ৭ হাজার ৫০০টি গ্রামকে সবধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর ধরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে। এসএফইউআরটিআই প্রকল্পের আওতায় ২৭৩টি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। এই ক্লাস্টার থেকে প্রাপ্ত পণ্য সামগ্রী বন ধন কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে আদিবাসী সমাজের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিক্রি করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী মিলেট বা জোয়ার, বাজরা ও রাগিকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলেই উৎপাদিত হয়। আগামী বছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে উদযাপিত হবে।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী নেতাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্র বিভিন্ন স্থানে বিশেষ সংগ্রহশালা গড়ে তুলছে, যেখানে আদিবাসী সমাজের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাসের কথা জানানো হবে। এছাড়াও, প্রতি বছর জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রথম জাতীয় আদিবাসী গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে আদিবাসীদের বিভিন্ন তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকবে।