জিরো পয়েন্ট নিউজ, মেমারি, ১৫ মার্চ ২০২৩:
মেমারি শহরের নেতারা প্রকাশ্যে গোষ্ঠী অন্তর্কলহের কথা স্বীকার করবেন না রাজনৈতিক কারণেই কিন্তু দলীয় আর্দশের চেয়ে দলীয় নেতার অনুগামী ডানপন্থী দল তৃণমূলের প্রধান বৈশিষ্ট্য তাই আজও জেলা তথা শহরে দল নিয়ন্ত্রিত কোন কার্যালয় হলো না তৃণমূলের। যথন যে নেতা যে দলের বা পদে ক্ষমতাসীন তার পছন্দসই কার্যালয় তার দলীয় কার্যালয় ও পদ হারালে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় এদৃশ্য জনতা জনার্দন দেখে আসছে। মেমারিবাসীও তা থেকে বঞ্চিত নয় তৃণমূলের গোষ্ঠী অন্তর্কলহের খেলা ব্লক ও শহরে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে দলীয় সভাতে।
বর্তমানে সাগরদিঘী নির্বাচন থেকে দলের শিক্ষা নেওয়ার কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। সমানে চলছে গোষ্ঠী রাজনীতি, অর্থাৎ তৃণমূলে তৃণমূলে লড়াই। কোথাও দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান, কোথাও বিধায়ক, সভাপতি -র বিরুদ্ধে স্লোগান, পোস্টার, কুৎসা ইত্যাদি যুদ্ধ অব্যাহত। যেখানে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। সেই রকম পরিস্থিতিতে অভিষেক ব্যানার্জীর নেতৃত্বে নতুন তৃণমূল গড়তে গিয়ে দলটাই যেন প্রশ্ন চিহ্নের মধ্যে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
রাতারাতি ওয়ার্ড অফিস বদলে যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে শাসক তৃণমূলের দলীয় অফিস, ব্লক স্তরে অঞ্চল অফিসের পাল্টা অঞ্চল অফিস। এ এক অন্য যুদ্ধ, নির্বাচনে দলকে জয়যুক্ত নয়, দলকে কিভাবে পরাজিত করা যায় তার যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। সোমবার মেমারি পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড অফিসের অনতি দূরে একটি শহর তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিস উদ্বোধন করলেন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল।
উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আশীষ ঘোষ দস্তিদার, সাধারণ সম্পাদক কমলেশ মন্ডল, আইএনটিটিইউসি সভাপতি সেখ আসরফ আলী, বঙ্গ জননী সভাপতি রুপা খাতুন, এসসি ওবিসি সেলের সভাপতি বিশ্বজিৎ বাগ, অন্যান্য ওয়ার্ডের সভাপতি সহ এলাকার কর্মী সমর্থকবৃন্দ।
শহর সভাপতি স্বপন ঘোষাল জানান ব্লক সভাপতি নতুন করে ঘোষণার সাথে সাথে রাতারাতি ওয়ার্ড অফিসগুলো কাউন্সিলর অফিস হয়ে যাওয়ায় দলীয় কাজের জন্য এই অফিস করতে হল। কাউন্সিলরের কাছে যারা পৌর পরিষেবা বা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে বা পাবে না তাদের সহায়তা দিতে সব সময়ের জন্য শহর তৃণমূল কংগ্রেস পাশে আছে ও থাকবে এবং এই ওয়ার্ড অফিস থেকে এলাকায় দলীয় কর্মসূচি চলবে।