জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২০ জুন ২০২৪ :
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে যোগা দিবসের খসড়া প্রস্তাব পাশ হয় এবং ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে অ্যাখা দেওয়া হয়। যোগাভ্যাসের উপকারিতা অনেক, নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে হলে যোগের বিকল্প আর নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্ব নেতাদের এই দিবসকে গ্রহণ করতে বলেন এবং তিনি জানান যে যোগা জীবনকে পরিবর্তন করে এবং চেতনা তৈরি করে, এটা জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়তাও করে।
কিন্তু কেন ২১ জুন কেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করা হয়?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন হিসেবেও পালন করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য রয়েছে।’ ২১ জুন গ্রীষ্ণকালীন সলস্টিস। ভারতের প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনীতে, সলস্টিসকে যোগ বিজ্ঞানের উৎস বলে চিহ্নিত করা হয়। এটা মনে করা হয় যে গ্রীষ্ণকালীন সলস্টিসের একদিন আদি যোগী তাঁর সবচেয়ে নিষ্ঠাবান সাত জন শিষ্যকে প্রথম দেখেন যাঁরা আলোকপাতের পথ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে না যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। এরপর পরবর্তী পূর্ণিমাতে আদি যোগী ওই শিষ্যদের যোগিক ক্রিয়া পদ্ধতি শেখাতে শুরু করেন। তাই গ্রীষ্ণকালীন সলিস্টিসকে যোগিক ক্রিয়ার দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসটি গ্রীষ্মের সল্টসিজের দিনটিতে এইভাবে বিশেষ তাৎপর্য রাখে।