অজয় কুমার দে, কালনা ও মেমারি : “কেন্দ্রসরকারের আর্থিক সহায়তা ব্যাংকের একাউন্টে ঢোকার কয়েকদিনের মধ্যে না তুলে নিলে সেই টাকা আবার সরকার কেটে নেবে একাউন্ট থেকে তাই পরের গুলো আর ঢুকবে না ” এমনি গুজবে আতঙ্কিত বাংলার অনেকাংশের আমজনতা। তাই টাকা ঢুকেছে কিনা , চেক করতে আর একাউন্ট থেকে তুলে নিতে লাইনের পর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে ব্যাংকের সামনে কিম্বা সিএসপি সেন্টার গুলিতে । কোথাও বা সারা রাত ধরে লাইন দিচ্ছে ভীর এড়াতে। বেশির ভাগ জায়গাতে মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করে কিম্বা করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার সহজ সচেতন টুকু পালন করছে না । ফলত কার্যকরী হচ্ছে না লকডাউন।
ধাত্রী গ্রাম এলাকায় ব্যাংক অফ বরোদা শাখায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই শাখার গ্রাহক আশমা বেগম জানান গুজু্ব ও আতঙ্কের কথা আরো জানান ” আমরা গরীব মানুষ মোদিজি যে সাহায্য করেছে তাতে আমাদের দু দিন হলেও সংসার চলে যাবে । গ্যাস ও পেয়ে যাবো ফ্রীতে । কিন্তু টাকা ফেরত গেলে খেতে পাবো না । মমতা দিদি যে সাহায্য করছে আমরা একজন পাইনি । কবে পাবো তাও জানিনা । তবে রেশন ডিলার দেবে বলেছেন । লক ডাউন মেনে কি হবে যদি খাওয়া দাওয়া না করেই মরে যায়”। প্রশাসন বহু চেষ্টা করেও তাদের সামাল দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন। কেও কেও পুলিশের ওপরে চড়াও হচ্ছেন । জ্ঞান ফিরছে না জনতার । কখনো গুজবে বা কখনো সাম্প্রদায়িক ভাবে নিজেদের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার আবদ্ধ হচ্ছেন । বিস্ফোরক গুজব ছড়ানোর পিছনে থাকা মুখ গুলির কঠিন সাজা কিম্বা গুজব ছড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ করা খুব প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে বারবার ।
মেমারি বামুনপাড়া মোড়ে রোজ এই রকম ভিড় থাকছে।
শুধু ধাত্রীগ্রামই নয় এই পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে এমনকি মেমারি পৌর শহরেও। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। মানুষ কোন বিধিনিয়ম মানছেন না। মেমারি বামুনপাড়া মোড়ে একটি সিএসপি সেন্টারে লম্বা লাইন, কর্মকর্তা বললেন মানুষ বুঝছেন না, সবাই ভাবছে যে এখনই টাকা তুলে নিতে হবে অবশ্য কেউ কেউ টাকা এসেছে কিনা তা জানার জন্য পাশবই আপডেট করতে আসছে। এব্যাপারে প্রশাসন বুঝিয়ে গেলেও মানুষ বুঝছেন না বলে অভিযোগ করেন আশে পাশের মানুষ।
মেমারি চকদিঘী মোড়ে একটি ব্যাঙ্কের নীচে এরকমই লাইন দেখা যাচ্ছে রোজ