স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ করোনার ভয়াল প্রকোপ থেকে বাঁচতে যেমন মানুষের সুস্থতার স্বার্থে লকডাউন করা হয়েছে ঠিক তেমনই এই লকডাউনের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসা ছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে মাথায় হাত। মেমারি শহরের সেই চেনা ছবি আজ অচেনা। ‘সেল, সেল, সেল’ চিৎকার আর দোকানের সামনে শাড়ি-জামা-চাদররের পাহাড়, ফুটপাত তো দূর অস্ত রাস্তায় হাঁটা যায় না এই সময়। মেমারি ষ্টেশন বাজার, বেলতলা মার্কেট, নিমতলা, নিউ মার্কেট, কৃষ্ণবাজার, চকদিঘী মোড়ের ছোট বড় দোকানে মানুষের ভিড় চৈত্রমাসে সস্তায় কেনার আনন্দ যেমন থাকে ক্রেতাও, মুখের চওড়া হাসি দেখা যায় বিক্রেতার মুখেও।
কিছু বড় ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজার বসার আগেই করোনাভাইরাসের জন্য ‘লকডাউন’ শুরু হয়ে সমস্ত বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এই ক্ষতি সাময়িক মানুষের জীবন আগে।
কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীদের মুখে অন্য সুর, তাদের কথায় চৈত্র সেল বন্ধ হল, নতুনবছেরর জন্য জামা কাপড় যারা কেনেন তারাও লকডাউনের জন্য আসতে পারছেন না মেমারির বাজারে। নিত্য প্রয়োজনীয় না হলেও তাদের দোকান বন্ধ থাকায় তাদের অনেক ক্ষতির স্বীকার হতে হচ্ছে।
মেমারি ষ্টেশনের নিকট বেলতলা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সুধীর বিশ্বাস ও প্রীতম সেন জানান যে, ঠিক এক বছর আগে রেললাইনের থার্ড লাইনের জন্য তাদের দোকান পাট তুলে দেওয়া হয় এবং পরবর্ত্তীতে পাশের জলাশয়টিকে ভরে নতুন করে এই বেলতলা মার্কেট তৈরি করা হয়। তাদের আশা ছিল যে এবছর চৈত্র সেলে তারা লাভবান হবেন কিন্তু লকডাউনের ফলে দোকানে সেলের জন্য কেনা জামাকাপড় সব পড়ে রয়েছে। লকডাউন উঠে গেলেও কেনার খরিদ্দার পাবো কিনা সন্দেহ হচ্ছে, বিপুল লোকসান হবে। তাদের অভিযোগ প্রশাসন নিম্নবিত্ত ও দরিদ্রমানুষ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়ীদের কথা ভাবলেও তাদের মত ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু ভাবা হয়নি।
অন্য দিকে আগামী কাল বাংলা নববর্ষ। হালখাতা, খরিদ্দারদের মিষ্টি, নতুন ক্যালেন্ডারের যোগানের জন্য দম ফেলার ফুরসত পান না যে সব ব্যবসায়ীরা তারাও ক্ষতির মুখে পড়েছে।