সংবাদসংস্থাঃ করোনা মহামারীর চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী, মুক্তার আব্বাস নাকভি আজ ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন যে পবিত্র রমজান মাসে তারা যেন লকডাউন এবং সামাজিক ব্যবধানের নিয়ম মেনে চলেন। ২৭ এপ্রিল থেকে রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শ্রী নাকভি কেন্দ্রীয় ওয়াকাফ পরিষদের চেয়ারম্যান। এই পরিষদের অধীনে দেশের ৭ লক্ষ নিবন্ধীকৃত মসজিদ, ঈদগা, ইমামবাড়া, দরগা সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, সৌদি আরব সহ বেশিরভাগ ইসলামিক রাষ্ট্র, রমজান মাসে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ওয়াকাফ পরিষদের মাধ্যমে রাজ্য ওয়াকাফ বোর্ডগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে তাঁরা যেন কোনো অবস্থাতেই জমায়েতের আয়োজন না করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক সংগঠনের সাহায্য এখানে প্রয়োজন। কারণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের সহযোগিতায় পবিত্র রমজান মাসে লকডাউন এবং সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখা সম্ভব হবে।
মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেন, রাজ্য ওয়াকাফ বোর্ড এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক সংগঠনগুলির উদ্যোগের ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল মুসলমানরা সবেবরাত বাড়িতে থেকেই পালন করেছেন। যা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে সব মন্দির, মসজিদ গুরুদুয়ারা, গীর্জা সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ঐতিহ্য অনুসারে মসজিদ, দরগা, ইমামবাড়া, ঈদগা, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে রমজান মাসে নামাজ এবং ইফতারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
মুক্তার আব্বাস নাকভি আরো বলেন, শুধুমাত্র মসজিদ এবং ধর্মীয় স্থানেই নয় পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানরা যেসব জায়গায় জড়ো হয়ে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করেন, সেখানে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, আবেদনের প্রেক্ষিতে লকডাউনের নীতি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। অসাবধানতা বসত যে কোনো আচরণই আমাদের পরিবার, সমাজ এবং সারা দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক।