বিশেষ সংবাদদাতাঃ গোটা দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লকডাউন। করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গোটা দেশ জুড়েই এই পরিস্থিতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ভারতে করোনি আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের সমস্ত বাজার, হাট, এগুলো দৈনিক সরঞ্জামের স্বার্থে খোলা রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই সময় অন্য রাজ্যে চলছে রবিশস্য তোলার কাজ। তাই প্রচুর পরিমাণে বস্তা ও চটের ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়ছে মঙ্গলবার রাজ্যকে এই মর্মে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি চটকলগুলি খোলার আবেদন করেন। আজ রুটিন বৈঠকে বসে সেই আবেদনেই সায় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লকডাউন জারি থাকলেও এই রাজ্যে কিছু চটকল এখনই খোলা প্রয়োজনীয়ভাবে দরকার। যথাযথ সুরক্ষা বজায় রেখে প্রয়োজন উৎপাদনও শুরু করা। এক প্রকার স্মৃতি ইরানির এই আবেদনেই সাড়া দিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত চটকল খোলার অনুমতি দিলেন।তবে চটকল খোলার প্রস্তাবে তিনি রাজি হলেও সমস্ত প্রোটোকল মেনে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর দাবি জানান তিনি। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ জুড়ে রবিশস্য কাটা শুরু করে দিয়েছে সমস্ত কৃষকরা। এখন প্রয়োজন প্রচুর চটের বস্তার। কিন্তু লকডাউনের জেরে এই উৎপাদন স্থগিত থাকায় বস্তার চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে রাজ্যে কিছু চটকল খুলে উৎপাদন শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।