মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতাঃ গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে করোনা সংক্রান্ত মামলা উঠে। গত ৯ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে রাজ্যের কাছে করোনা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের দাখিল করা রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয় কলকাতা হাইকোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে করোনা মহামারী নিয়ে আরও তথ্য জমা দিতে বলা হয়। করোনায় আক্রান্ত কত? মৃত্যুর সংখ্যা টি কত? কিভাবে কোথায় কতজনের করোনা ভাইরাস পরিক্ষা চলেছে? এইবিধ নানান তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ – আইসিএমআর এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার গাইডলাইন মানা উচিত রাজ্যের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২১ এপ্রিল। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন এবং পরিকাঠামোর অভাব অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে – আইসিএমআর এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। গত ৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছিলেন ন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। আজ অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার ভিডিও শুনানি হয়।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে – করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে? বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।করোনায়
বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে।